(বাঁ দিকে) শনিবার সকালে পটনায় আইএএস আধিকারিকের বাসভবনে ইডির দল এবং বাড়ির বাইরে মোতায়েন পুলিশ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
বিহারে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল আইএএস অফিসার সঞ্জীব হংসকে। শুক্রবার রাতেই ইডির একটি দল হানা দিয়েছিল পটনায়। ওই অভিযানেই গ্রেফতার করা হয় বিহারের আমলাকে। পাশাপাশি ওই একই মামলায় শুক্রবার রাতে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আরজেডির প্রাক্তন বিধায়ক গুলাব যাদবকে। আর্থিক দুর্নীতি এবং আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। সঞ্জীব ১৯৯৭ সালের বিহার ক্যাডারের আইএএস আধিকারিক। অতীতে বিহারের বিদ্যুৎ সচিব ছিলেন তিনি। এর আগেও একাধিক বার তাঁর বাসভবনে ইডি হানা দিয়েছিল। ইডির হানার পর গত অগস্টেই সঞ্জীবকে জনপ্রশাসন দফতরে বদলি করে দেওয়া হয়েছিল।
যাদব ২০১৫-২০২০ সালে মধুবনী জেলার ঝাঞ্ঝরপুরের বিধায়ক ছিলেন। সূত্রের খবর, হংস বিদ্যুৎ সচিব পদে থাকাকালীন এবং যাদব বিধায়ক থাকাকালীন উভয়েই ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ। ঘুষ হিসাবে নগদ টাকা, বিলাসবহুল গাড়ি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে হংসের বিরুদ্ধে। তাঁদের বিরুদ্ধে এই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগটি প্রথম উঠে আসে অগস্ট মাসে। বিহার পুলিশের স্পেশাল ভিজিল্যান্স ইউনিট (এসভিইউ) আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছিল দু’জনের বিরুদ্ধে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে প্রকাশ, ইডির থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই গত ১৪ সেপ্টেম্বর মামলা রুজু করেছিল বিহার পুলিশ। এ ছাড়া ইডিও পৃথক ভাবে এই মামলার তদন্ত চালাচ্ছিল। বিহার পুলিশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক পিটিআইকে বলেছেন, “ইডির দেওয়া তথ্য যাচাই করে দেখছে পুলিশ। হংস, যাদব এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মিলিয়ে মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।” সূত্রের খবর, এর পর দু’জনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় পুলিশও।