আদালতের বাইরে চিদম্বরম।
আর্থিক বৃদ্ধির হার নেমে এসেছে ৫ শতাংশে। পি চিদম্বরম আদালত থেকে সিবিআই হেফাজতে ফিরে যাওয়ার আগে হাতের আঙুল দেখিয়ে বলছেন, ‘‘পাঁচ শতাংশ! জানেন তো, পাঁচ শতাংশ কী? আপনারা ৫ শতাংশ মনে রাখবেন।’’
আর মোদী সরকারের তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের দাবি, ‘‘আমরা জিডিপি-র মাপে বিশ্বের একাদশতম অর্থনীতি ছিলাম। এখন আমরা পঞ্চম স্থানে। এ বার আমরা তৃতীয় স্থানে উঠে আসছি।’’
অগস্ট মাসে দেশে গাড়ি বিক্রি আরও কমেছে। মারুতি-সুজুকি, টাটা মোটরস, টয়োটা-সহ একগুচ্ছ গাড়ি সংস্থা জানিয়েছে, অগস্টে গত বছরের তুলনায় প্রায় সকলেরই বিক্রির সংখ্যা কমে গিয়েছে। কিন্তু নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত আজ নতুন গাড়ি বাজারে আসার রিপোর্ট দেখিয়ে টুইট করেছেন, ‘‘কোথায় ঝিমুনি? বাজারে আসা নতুন গাড়ির মডেল তো দুরন্ত গতিতে ছুটছে।’’
সব মিলিয়ে অর্থনীতির হাল যতই খারাপ হোক, মোদী সরকার তা স্বীকার করতে নারাজ। গাড়ি বিক্রি কমার খবর উড়িয়ে দেওয়া দেখে আজ কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা মন্তব্য করেন, ‘‘কোনও মিথ্যেকে একশো বার বললে সেটা সত্যি হয়ে যায় না। বিজেপি সরকারের স্বীকার করা উচিত যে, অর্থনীতিতে ঐতিহাসিক মন্দা এসেছে। সরকারের এর সমাধান করা উচিত।’’ নীতি আয়োগের সিইও-র মন্তব্য শুনে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের মন্তব্য, ‘‘নীতি আয়োগের নীতি-র অর্থ হল, নট ইন টাচ উইথ ইন্ডিয়া। বাস্তব হল, টানা ১৫ মাস ধরে জিডিপি-র বৃদ্ধির হার কমছে। তার পরেও এই কথা!’’
মোদীর আমলে অর্থনীতির খারাপ অবস্থা নিয়ে এত দিন পি চিদম্বরম কংগ্রেসের হয়ে আক্রমণে নেতৃত্ব দিতেন। তিনি সিবিআই হেফাজতে যাওয়ার পরে মুখ খুলতে পারেননি। আজ সিবিআই আদালত চত্বরেই তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে চিদম্বরম পাঁচ শতাংশ নিয়ে মোদী সরকারকে কটাক্ষ করেন।
আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী জাভড়েকর বলেন, ‘‘মনমোহন সিংহের বিশ্লেষণের সঙ্গে আমরা একমত নই।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘দায়িত্বশীল সরকার হিসেবে আমরা সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি।’’