Bihar Election

করোনা-বিধি শিকেয়, ক্ষুব্ধ কমিশন

স্বীকৃত সমস্ত জাতীয় ও রাজ্য দলগুলির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের নির্দেশিকা পাঠিয়ে কমিশন জানিয়েছে, এই ধরনের বিধি-লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এবং জেলা প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা 

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২০ ০৩:১৮
Share:

তেজস্বী যাদবের সভায় মানুষের ঢল। ছবি পিটিআই।

বিহারের বিধানসভা নির্বাচন ও বিভিন্ন রাজ্যের উপনির্বাচনের প্রচার চলছে পুরোদমে। কিন্তু প্রচারে পারস্পরিক দূরত্ববিধি শিকেয় উঠেছে। নেতারাও সভায় বক্তৃতা দিচ্ছেন মাস্ক না-পরে। করোনা-পরিস্থিতিতে এ সব নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

স্বীকৃত সমস্ত জাতীয় ও রাজ্য দলগুলির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের নির্দেশিকা পাঠিয়ে কমিশন জানিয়েছে, এই ধরনের বিধি-লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এবং জেলা প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট প্রার্থী থেকে আয়োজক, সবাইকেই শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এ বিষয়ে প্রশাসন ও কমিশনের আধিকারিকদের জন্য আলাদা নির্দেশিকা জারি হয়েছে।

ভোট ঘোষণার সময়েই করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছিল কমিশন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তারই ‘যথেচ্ছ লঙ্ঘন’ চলছে বলে মনে করছে তারা। বিহারে তেজস্বী যাদবের সভায় হাজার হাজার মানুষ মাস্ক ছাড়াই এসেছেন। মধ্যপ্রদেশের সভায় কংগ্রেস নেতা কমল নাথ যখন এক মহিলা প্রার্থী সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করছিলেন, তখন তাঁর এবং আশেপাশে কারও মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। আবার এর পাল্টা জ্বালাময়ী বক্তৃতার সময়ে মাস্ক ছিল না বিজেপির জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ারও।

Advertisement

আরও পড়ুন: কোয়াড-এর পাল্টা জোট গড়ছে চিন

এমন উদাহরণ বাড়ছেই। এই পরিস্থিতিতে কমিশন বলেছে, ‘‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের তরফে গা-ছাড়া মনোভাব দেখা যাচ্ছে। ভিড়ের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটছে। এঁরা নিজেদের পাশাপাশি অন্যদেরও বিপদের মুখে ফেলছেন। কমিশন বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।’’

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশে সুস্থতার হার এখন ৮৮.৮১ শতাংশ। মোট সংক্রমিতের নিরিখে অ্যাক্টিভ রোগীর হার ১০ শতাংশের নীচে। মাত্র ৫০০ টাকার মতো খরচে এক ঘণ্টার মধ্যে কোভিড পরীক্ষার নির্ভুল ফল জানা যায়, এমন একটি বহনযোগ্য যন্ত্র তৈরি করেছে আইআইটি খড়্গপুর। ‘কোভির্যাপ’ নামে এই যন্ত্রকে মান্যতা দিয়েছে আইসিএমআর। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক আজ এই কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘১০ হাজার টাকারও কম খরচে যন্ত্রটি তৈরি করা সম্ভব। সরকারি হস্তক্ষেপে পরীক্ষার খরচ আরও কমতে পারে।’’

আরও পড়ুন: ‘বফর্সে অন্তর্ঘাত’, দাবি প্রাক্তন সিবিআই কর্তার

গ্রামীণ ও শহরতলি এলাকায় পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে এই যন্ত্রটি কার্যকর হবে বলে প্রতিষ্ঠানের কর্তারা জানিয়েছেন। আইআইটি খড়্গপুরের ডিরেক্টর ভি কে তিওয়ারি বলেন, ‘‘অনেকাংশেই পিসিআর-ভিত্তিক পরীক্ষার জায়গা নিতে পারে এই নতুন আবিষ্কার। কোনও সংস্থা বাণিজ্যিক ভাবে এটি তৈরি করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement