নরেন্দ্র মোদী। ছবি: সংগৃহীত
যে যাঁর মতো করে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি চালাচ্ছিলেন। যাঁরা সাংসদ, তাঁরা রাজধানী শহর থেকে নিজেদের রাজ্যে ফেরার তোড়জোড় করছিলেন। এমন সময়েই তাঁদের ইনবক্সে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ই-মেল। স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে কোন বিষয়ের উল্লেখ তাঁরা শুনতে চান, শ্রমিক সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন নরেন্দ্র মোদী! বেশির ভাগই অবশ্য শেষ বেলার এই আহ্বান ফিরিয়ে দিয়েছেন। ব্যতিক্রম ইউটিইউসি-র অশোক ঘোষের মতো কেউ কেউ।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে মতামত চেয়ে এমন ই-মেল বেশির ভাগ ট্রে়ড ইউনিয়ন নেতার কাছেই এসেছে রবিবার রাতে বা সোমবার সকালে। সিটুর সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যসভা সাংসদ তপন সেনের যুক্তি, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার বক্তৃতা হবে আজ, মঙ্গলবার। এই ধরনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বয়ান আগেই তৈরি হয়ে যায়। শেষ লগ্নে হঠাৎ ‘গণতান্ত্রিক’ মনোভাব দেখিয়ে মতামত চেয়ে পাঠানোর অর্থ কী?
আইএনটিটিইউসি নেত্রী, সাংসদ দোলা সেনও মেল পেয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি হঠানোর লক্ষ্যে তাঁর দল কর্মসূচি নিয়েছে। মোদীকে আলাদা মতামত জানানোর কিছু নেই। আইএনটিইউসি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জি সঞ্জীব রেড্ডি আবার এ দিন বিকাল পর্যন্ত এমন কোনও মেলের কথা জানতেন না।
ইউটিইউসি-র অশোকবাবু অবশ্য জবাব পাঠিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর দাবি, সাধারণ মানুষের দু’বেলা খাওয়া নিশ্চিত করতে জি়ডিপি-র উন্নয়নকে ‘ফুড বাস্কেটে’ রূপান্তরিত করা হোক। গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা করা হোক। আর বাড়ানো হোক কর্মসংস্থান।