আজম খান বিতর্কে আরও এক বার মুখ খুললেন বিজেপি সাংসদ রমা দেবী। জানালেন, এসপি সাংসদ আজম খানকে তিনি কখনওই ক্ষমা করবেন না। আজম খান তাঁর কাছে ক্ষমা চাইলেও তাঁর সিদ্ধান্ত পাল্টাবেন না। গত কালও বিষয়টি নিয়ে লোকসভায় সরব হয়েছিলেন তিনি।
বিতর্কের সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। লোকসভায় তিন তালাক বিল নিয়ে আলোচনার সময়ে স্পিকার ওম বিড়লা উপস্থিত ছিলেন না। তাঁর জায়গায় সভা সামলাচ্ছিলেন বিজেপি নেত্রী রমা দেবী। তখনই উত্তরপ্রদেশের এসপি সাংসদ আজম খান রমা দেবীকে উদ্দেশ করে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। বিষয়টি নিয়ে রমা দেবী প্রতিবাদ করতেই তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় লোকসভায়। স্পিকার ওম বিড়লা সেই সময়ে লোকসভায় উপস্থিত হয়ে আজম খানকে ভর্ৎসনাও করেন। শাসক এবং বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা কাল একজোট হয়ে আজমের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। আজম খানের অবশ্য বক্তব্য তিনি রমা দেবীকে বোনের মতো দেখেন। তবে আজমের বক্তব্যে বিতর্ক থামেনি। গত কাল লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সর্বদলীয় বৈঠকের পরে আজমকে জানান, আগামী সোমবার রমা দেবীর কাছে ক্ষমা না চাইলে তাঁর বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যাঁকে কেন্দ্র করে এই বিতর্ক, সেই রমা দেবী অবশ্য আজই জানিয়েছেন, আজম খান প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেও তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তাঁর কথায়, ‘‘যখন উনি (আজম খান) এই মন্তব্য করেন, আমি স্পিকারের চেয়ারে বসে। আজম খান সরাসরি সাংসদদের দিকে তাকিয়ে কথা বলছিলেন। আমি তখন ওঁকে চেয়ারের দিকে তাকাতে বলি। সঙ্গে সঙ্গে উনি এমন কথা বলেন, যা এখানে আমি বলতে পারব না।’’
রমা দেবীর বক্তব্য, আজম খান বৃহস্পতিবারই নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলে হয়তো তিনি তাঁকে ক্ষমা করে দিতেন। কিন্তু সেটা না করে তিনি এমন ভাবে সভা ছাড়েন, দেখে মনে হয়েছিল যেন কিছুই হয়নি। যাতে রমা দেবী আরও অপমানিত হয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘উনি শুধু আমায় নয়, গোটা দেশের মহিলাকে অপমানিত করেছেন। আমি স্পিকারের কাছে অনুরোধ জানাব ওঁকে এমন শাস্তি দিতে, যাতে পরের প্রজন্মও সেটা মনে রাখে।’’