DVC

কাশ্মীরে জয়ের পথে এগিয়ে গুপকর জোট

জম্মু-কাশ্মীর মিলিয়ে ডিডিসি-র ২৮০টি আসনে ২৮ নভেম্বর থেকে আট দফায় ভোট হয়েছে। এ ছাড়াও কাশ্মীরে ৯৩৫টি পঞ্চায়েত ও সরপঞ্চের ১১,৮১৪টি শূন্য পদে ভোট হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:২১
Share:

জয়ী: শ্রীনগরে পিডিপি-র রেহানা পারভেজ়। মঙ্গলবার। পিটিআই

জম্মু-কাশ্মীরে জেলা উন্নয়ন পরিষদের (ডিডিসি) সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন দখল করল ফারুক আবদুল্লার নেতৃত্বাধীন গুপকর জোট। মোট ২৮০টি আসনের মধ্যে রাত পর্যন্ত ২৫১টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এখনও অবধি ৯৯টি আসন জিতেছে তারা। ৭৭টি আসন পেয়ে একক বৃহত্তম দল হয়েছে বিজেপি। জম্মুতে প্রত্যাশা মতোই ভাল ফল করেছে তারা। উপত্যকায় জিতেছে তিনটি আসন। ৪৫টি আসনে পেয়েছেন নির্দলেরা। কংগ্রেস জিতেছে ২২টিতে। ফারুকের দল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স পেয়েছে ৫৬টি আসন।

Advertisement

জম্মু-কাশ্মীর মিলিয়ে ডিডিসি-র ২৮০টি আসনে ২৮ নভেম্বর থেকে আট দফায় ভোট হয়েছে। এ ছাড়াও কাশ্মীরে ৯৩৫টি পঞ্চায়েত ও সরপঞ্চের ১১,৮১৪টি শূন্য পদে ভোট হয়েছে। জম্মুতেও ভোট হয়েছে ১৩৫টি পঞ্চায়েত ও ৩৩৯টি সরপঞ্চের শূন্য পদে। বিভিন্ন জেলা সদরে কড়া নিরাপত্তায় মধ্যে চলছে ভোট গণনা। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে রেকর্ড করা হচ্ছে গোটা প্রক্রিয়া। শ্রীনগরে ১টি ও বান্দিপোরায় ২টি আসনে জিতেছে বিজেপি। এই প্রথম উপত্যকায় আসন পেল তারা।

জঙ্গি উপদ্রুত দক্ষিণ কাশ্মীরে সবচেয়ে ভাল ফল করেছে গুপকর জোট। এখনও পর্যন্ত ৪৫টি আসনে জিতছে তারা। ১০টি আসনে এগিয়ে নির্দলরা। ৫টিতে এগিয়ে কংগ্রেস। উত্তর কাশ্মীরে ১৩টি আসনে এগিয়ে জোট প্রার্থীরা। ১১টিতে নির্দলেরা। শ্রীনগর জেলায় ১৪টি ডিডিসি আসনের মধ্যে সাতটিতে জিতেছেন নির্দলেরা। নরেন্দ্র মোদী সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আপনি পার্টি জিতেছে ৩টিতে। একটি করে আসন পেয়েছে বিজেপি, পিডিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স ও জম্মু-কাশ্মীর পিপলস মুভমেন্ট। গুপকর জোটের এই জয় তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনীতিকেরা। সকালে জম্মু-কাশ্মীরে ভোটের দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর দাবি করেন, বিজেপি খুবই ভাল ফল করবে। কারণ, জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দারা নয়া নেতৃত্ব খুঁজছেন। তাঁর কথায়, ‘‘জম্মু-কাশ্মীরে তৃণমূল স্তরের ভোট করানো নিয়ে মোদীজির স্বপ্ন সার্থক হল।’’

Advertisement

ভোটের চিত্র কিছুটা স্পষ্ট হতে গুপকর জোটের শরিক ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লা বলেন, ‘‘আমাদের কাছে এই জয়ের তাৎপর্য কী, বলে বোঝানো যাবে না।।’’ তাঁর মতে, ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট থেকে জম্মু-কাশ্মীরে যা ঘটেছে তা বাসিন্দারা সমর্থন করেন না। সেটাই তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন। তবে জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ সম্পাদক বিবোধ গুপ্তের দাবি, তিনটি আসনে বিজেপির ঐতিহাসিক জয় বুঝিয়ে দিচ্ছে উপত্যকায় পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে।

রাজনীতিকেরা মনে করাচ্ছেন, গুপকর জোটকে ‘গুপকর গ্যাং’ নাম দিয়ে গোড়া থেকেই কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছে বিজেপি। দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পরে এখন ফারুক-সহ গুপকর জোটের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চালানো হচ্ছে। আচমকা ভোট ঘোষণার ফলে প্রস্তুতির তেমন সুযোগও পায়নি বিরোধী দলগুলি। ফারুক, ওমর ও পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি প্রচারও করেননি। তার পরেও এই ফল জোটের কাছে বড় সাফল্য।

মনোনয়ন পেশ করার পরেই জঙ্গি-যোগের অভিযোগে পিডিপি-র যুব নেতা ওয়াহিদ প্যারাকে হেফাজতে নিয়েছিল এনআইএ। বন্দি অবস্থাতেই জিতেছেন তিনি। গুপকর জোটের নেতাদের দাবি, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ, নেতা-সহ বাসিন্দাদের বন্দি করার মতো পদক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করেছেন মানুষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement