গুরপ্রীত সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।
ধূমপানে বাধা দেওয়ায় দুই যুবককে গাড়ি চাপা দিয়ে পিষে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল দিল্লির এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর তিন দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বুধবার মারা গেল তাঁদের এক জন। অন্য জন গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
ঠিক কী হয়েছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর, ১৭ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ ফুটপাথের উপর ফোটোশুট করছিলেন দিল্লির বছর একুশের যুবক গুরপ্রীত সিংহ। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বন্ধু মনিন্দর সিংহ। তাঁর দু’জনেই স্থানীয় একটি ইনস্টিটিউট থেকে ফোটোগ্রাফি শিখছেন। সে কারণেই ফুটপাথবাসীদের ছবি তুলছিলেন তাঁরা। এর পরে ভোরবেলায় দক্ষিণ দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাস সায়েন্সেস (এআইআইএমএস)-এর সামনে চা-জলখাবার খাওয়ার জন্য একটি রেস্তোরাঁয় যান তাঁরা। সেই সময় রোহিতকৃষ্ণ নামে এক আইনজীবী আসেন সেখানে। মনিন্দর জানিয়েছেন, তাঁদের মুখের সামনে এসে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে থাকেন তিনি। বার বার বারণ করা সত্ত্বেও থামেননি। মনিন্দরের দাবি, ঘটনার সময় পুরোপুরি মত্ত ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন
কুপ্রস্তাবে না, ধর্ষণের চেষ্টা করায় আত্মঘাতী কিশোরী
বিসর্জন বিতর্ক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, বললেন মমতা
পুলিশ জানিয়েছে, এর পর মোটরবাইকে চড়ে ওই যুবকেরা রেস্তোরাঁ থেকে বের হতেই তাঁদের গাড়িচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন রোহিতকৃষ্ণ। তাঁর গাড়ির ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়েন গুরপ্রীত। ধাক্কা লাগে একটি অটোরিকশা এবং রেডিও ক্যাবেও। ওই রেডিও ক্যাবের ড্রাইভারই পুলিশে খবর দেন। গুরুতর আহত মনিন্দর পঞ্জাবের ভাতিন্ডায় গুরমীতের পরিবারকে ফোন করে গোটা বিষয়টি জানায়।
মনিন্দরের অভিযোগ, মত্ত লোকটি তাঁদের গাড়িচাপা দেওয়ার জন্যই চেষ্টা করেছিল বলে পুলিশকে জানালেও তা শোনা হয়নি। বরং পুলিশ তাঁদের অভিযোগ না শুনে বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ের কেস দায়ের করে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত রোহিতকৃষ্ণ মহন্তও দুর্ঘটনায় আহত। একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।