প্রতীকী ছবি।
দিনমজুরের কাজ করেই নাকি রোজগার। অথচ মাস দুয়েক আগে আয়কর দিয়েছেন ৪০ লক্ষ টাকা। আর তাতেই পুলিশের নজরে পড়ে গেল বছর চৌত্রিশের রাচাপ্পা। কিছু দিন তক্কে তক্কে থাকার পর শেষমেশ সোমবার সঙ্গী-সহ রাচাপ্পাকে হাতেনাতে ধরল পুলিশ।
ঘটনা বেঙ্গালুরুর। পুলিশ জানিয়েছে, দিনমজুরি নয়, রাচাপ্পা আসলে মাদক চোরাচালানকারী। দক্ষিণ কর্নাটকের পুষ্পপুরার বাসিন্দা রাচাপ্পা ১২ বছর আগে বেঙ্গালুরুতে এসেছিল। সেখানে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করত সে। ২০১৩ থেকে বেআইনি পথে তার রোজগার শুরু হয়। নির্মাণকর্মী হিসেবে তার সঙ্গে কাজ করতেন অন্য যাঁরা, প্রথমে তাঁদেরকে মাদক বেচত রাচাপ্পা। পরে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সে মাদক সরবরাহ করা শুরু করে। ক্রমে আরও ফুলে-ফেঁপে ওঠে ব্যবসা, অনেক ছড়িয়ে পড়ে মাদক চক্র।
মাদক ব্যবসায় ফুলে-ফেঁপে ওঠা রাচাপ্পা বেঙ্গালুরুতেই পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করেছিল। কনকপুরা রোডে যে বাংলোয় সে থাকত, তার মাসিক ভাড়া ৪০ হাজার টাকা। বিলাসবহুল গাড়ি, বিস্তর জমি-জিরেতের মালিকও হয়ে উঠেছিল রাচাপ্পা।
আরও পড়ুন
নৌসেনার হাতে তৃতীয় স্করপেন, ক্রমশ বাড়ছে সাবমেরিন বহর
কী ভাবে পুলিশের জালে পড়ল রাচাপ্পা? পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৭-১৮ আর্থিক বর্ষের আয়কর জমা দেওয়ার পরই নজরে পড়ে যায় সে। আয়ের উৎস ঘোষণা করার জন্য তাকে নোটিস পাঠায় আয়কর দফতর। তখন রাচাপ্পা আয়কর দফতরকে জানায়, সে ঠিকাদার। এর পরই পুলিশে খবর দেয় আয়কর দফতর। পুলিশ রাচাপ্পার উপরে নজরদারি শুরু করে এবং খুব তাড়াতাড়িই তার মাদক ব্যবসার হদিস পেয়ে যায়। বেশ কিছু দিন নজরদারি চালিয়ে মাদক-সহ রাচাপ্পাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন
ভূকম্পন হিন্দুকুশে, কাঁপল দিল্লি-সহ উত্তর ভারত
এই ধরনের খবর আপনার ইনবক্সে সরাসরি পেতে এখানে ক্লিক করুন
বেঙ্গালুরুর ডিসিপি (দক্ষিণ-পূর্ব) বরালিঙ্গাইয়া এম বি জানিয়েছেন, গোপন সুত্রে খবর পেয়ে ২৯ জানুয়ারি একটি হোটেলে হানা দেয় কোরামঙ্গলা থানার পুলিশ। সেখানেই রাচাপ্পা শাগরেদদের নিয়ে মাদক বিক্রি করছিল। তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। শাগরেদ শ্রীনিবাসকেও গ্রেফতার করে। কিন্তু আর এক মাদক কারবারি সাশু পালিয়ে যায়। রাচাপ্পার কাছ থেকে ২৬ কিলোগ্রাম গাঁজা-সহ ৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে একটি ইনোভা গাড়িও বাজেয়াপ্ত করেছে।