হুমকির অভিযোগ সলমনের কৌঁসুলির

গত ২০ বছর ধরে সলমনের বিরুদ্ধে কৃষ্ণসার মামলা চালিয়ে এসেছেন বিশ্নোইরাই। লরেন্স আরও বলেছিল, ‘‘পুলিশ যদি চায় আমি বড় কোনও অপরাধ করি, তা হলে সলমনকেই মারব। আর মারব এই জোধপুরেই।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জোধপুর শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:২৩
Share:

দেখা: সলমনের সঙ্গে দেখা করতে সেন্ট্রাল জেলের পথে প্রীতি জিন্টা। শুক্রবার জোধপুর বিমানবন্দরে। ছবি: পিটিআই।

চিন্তায় বন্দি নায়কের পরিবার। চিন্তায় তাঁর কৌঁসুলিও। চিন্তা আর ভয়। এ যে সরাসরি খুনের হুমকি!

Advertisement

গত কাল জোধপুরের এক আদালতে হাজিরার সময়ে কুখ্যাত অপরাধী লরেন্স বিশ্নোই বলেছিল, ‘‘এই জোধপুরেই খুন হবেন সলমন খান। তবেই তিনি বুঝতে পারবেন, আমরা আসলে কারা!’’ ধরে নেওয়া হচ্ছে, বিশ্নোই সম্প্রদায়ের কথাই বুঝিয়েছিল লরেন্স। গত ২০ বছর ধরে সলমনের বিরুদ্ধে কৃষ্ণসার মামলা চালিয়ে এসেছেন বিশ্নোইরাই। লরেন্স আরও বলেছিল, ‘‘পুলিশ যদি চায় আমি বড় কোনও অপরাধ করি, তা হলে সলমনকেই মারব। আর মারব এই জোধপুরেই।’’

তখন থেকেই চিন্তায় ছিলেন সলমনের আপনজনেরা। জোধপুরের যে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার এখন সলমনের ঠিকানা, লরেন্স তো সেখানেই বন্দি!

Advertisement

চিন্তার আরও বাকি ছিল। আজ সকালে জোধপুরের দায়রা আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে সলমনের অন্যতম আইনজীবী মহেশ বরা দাবি করেন, এই মামলা থেকে সরে যেতে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। সলমনের জামিনের আর্জি জানিয়ে আজই মামলা করা হয়েছে দায়রা আদালতে। সকালে তারই শুনানির আগে মহেশ বলেন, ‘‘গত কাল আমি হুমকি-দেওয়া এসএমএস আর ইন্টারনেট কল পেয়েছি। তাতে বলা হয়েছে, ‘‘মামলাটা ছেড়ে দিন। কোর্টে যাবেন না। কথা না শুনলে আপনাকে গুলি করে মারব।’’

স্বাভাবিক ভাবেই জোড়া উদ্বেগে সলমন-শিবির। জোধপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বেশ কিছু কুখ্যাত অপরাধী ও অভিযুক্তেরা রয়েছে। সলমনের পাশের সেলেই রয়েছে নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত ধর্মগুরু আসারাম বাপু। পশ্চিমবঙ্গের মহম্মদ আফরাজুলকে পিটিয়ে-কুপিয়ে খুন করা শম্ভুলাল রেগরের ঠিকানাও এখন এই জেল। আর লরেন্স তো আছেই। গুলি চালানোর দু’টি ঘটনার পাশাপাশি বাসুদেব ইরানি নামে জোধপুরের এক ব্যবসায়ীর খুনের মামলাও চলছে তার বিরুদ্ধে।

লরেন্স গত কাল সলমনকে খুনের হুমকি দেওয়ার পরে ডিআইজি (কারা) বিক্রম সিংহ বলেছিলেন, ‘‘হুমকির বিষয়টি মাথায় রেখেই ওঁকে (সলমন) একা না রেখে অন্য কয়েক জন বন্দির সঙ্গে রাখা যায় কি না, সেই বিষয়টি আমরা ভেবে দেখছি।’’ আপাতত জেলের ২ নম্বর ওয়ার্ডে সলমনের ২ নম্বর সেলের সামনে সর্বক্ষণের কড়া পাহারা মোতায়েন হয়েছে। পরিবারের লোকেরা সপ্তাহে এক বার দেখা করতে পারবেন সলমনের সঙ্গে। তবে জামিনের শুনানি যে-হেতু চলছে, তাই যে কোনও সময়েই সলমনের সঙ্গে সাক্ষাতের ছাড়পত্র রয়েছে শুধুমাত্র আইনজীবীদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement