দূষণের যমুনা। ছবি: শাটারস্টক
খোলা চোখে নজরদারি আর সম্ভব হচ্ছিল না। তাই যমুনা নদীর দূষণ রোধ করতে এবং তার পারিপার্শ্বিক জমিতে নজরদারি চালাতে ইসরোর আঞ্চলিক রিমোট সেন্সিং কেন্দ্র (রিজিওনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার বা আরআরএসসি)-এর দ্বারস্থ হলো দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। সম্প্রতি ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল-এর গঠন করা একটি কমিটি এই কথা জানিয়েছে। কমিটির তরফে জানানো হয়েছে যে, যমুনা নদীর দূষণ এড়াতে এবং তার সংলগ্ন জমিতে যথেচ্ছ আবর্জনা এবং বর্জ্য পদার্থ থেকে দূষণ ছড়ানো আটকাতেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
নদীর দূষণ আটকাতে নেওয়া এমন পদ্ধতিকে স্বাগত জানিয়েছেন সকল পরিবেশবিদরাই। দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি আরও জানিয়েছেন যে, এই কাজে ব্যবহার করা হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন প্রযুক্তি; নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হবে ড্রোনও।
এ ছাড়াও ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের চেয়ারপার্সন বিচারপতি এ.কে. গয়াল গত বছরের জুলাই মাসে একটি কমিটি গঠন করেছিলেন যারা যমুনা নদীর পরিষ্কার থাকার ব্যাপারে দেখভাল করবেন। স্থানীয় অধিবাসী ও পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলাও এই কমিটির অন্যতম কাজ ছিল।
আরও পড়ুন: চলছে জেরা, আর্থিক তছরুপের অভিযোগে আজও এনফোর্সমেন্ট অফিসে তলব রবার্ট বঢরাকে
গত কয়েক দশকে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে যমুনা নদী দূষণের হার। সেই ব্যাপারে রাশ টানতেই নানা উপায় নিয়ে চলেছিল দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। কিন্তু এই পরিমাণে প্রযুক্তির ব্যবহার এই প্রথম। এই পদক্ষেপ কতটা কাজে দেয় সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন: যোনি অক্ষত কি না পরীক্ষা নিলে শাস্তি, ঘোষণা মহারাষ্ট্রের, লড়াইয়ের ফল পেলেন বিবেক-ঐশ্বর্যা