(বাঁ দিকে) লাল বাসের চালকের মৃত্যু। আতঙ্কিত যাত্রীরা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
৩০ জন যাত্রী নিয়ে হাইওয়েতে ছুটছিল বাস। আচমকাই সেই বাসের চালক বুকে ব্যথা অনুভব করেন। কী হয়েছে, বুঝে ওঠার আগেই ব্যথা বাড়তে থাকে তাঁর। চোখের সামনে ঘনিয়ে আসতে থাকে অন্ধকার। কিন্তু তার পরও স্টিয়ারিং ছাড়েননি। কোনও ক্রমে বাসটিকে রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়েই জ্ঞান হারান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই বাসচালকের।
ঘটনাটি ঘটেছে মুজফ্ফরপুরের বালিয়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, কিষাণগঞ্জ থেকে মুজফ্ফরপুর এবং হাজিপুর হয়ে পটনা যাচ্ছিল বাসটি। কুধানি থানা এলাকার বালিয়া উড়ালপুলে ওঠার পরেই চালক বুকে অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করেন। বাসের নিয়ন্ত্রণ হারান। ভয়ে বাসের মধ্যে সিঁটিয়ে যান যাত্রীরা। যে কোনও সময়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারতে পারত বাসটি। কিন্তু চালক সেই বিপদ এড়াতে সক্ষম হন।
বাসটি রাস্তার পাশে দাঁড় করানোর সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন চালক। বাস থামার পরেই যাত্রীরা নেমে আসেন রাস্তায়। বাসচালকের মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। যাত্রীদের চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়েরা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে বাসচালকের মৃত্যুর ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মৃত্যুর আগেও কর্তব্যে অবিচল থেকে তাঁদের রক্ষা করায় মৃত চালকের প্রতি কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেছেন যাত্রীরা।