রাষ্ট্রপতি পদে বিজেপি-র প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিরোধী জোটের রণকৌশল নিয়ে চিন্তায় পড়েছে কংগ্রেস। শুধু প্রার্থী কে হবেন, তা নয়। বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিরোধী জোটের প্রার্থী যদি হেরে যান, তা হলে ২০১৯-এর লোকসভায় বিরোধী জোট তৈরির প্রক্রিয়া প্রথমেই ধাক্কা খেতে পারে বলে কংগ্রেসের আশঙ্কা।
কংগ্রেস নেতৃত্বের দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়েছে বিজেপির প্রার্থী নিয়ে নতুন জল্পনা। এত দিন লালকৃষ্ণ আডবাণী, সুমিত্রা মহাজন, মোহন ভাগবতের মতো নাম নিয়ে চর্চা চলছিল। কংগ্রেসের ধারণা ছিল, এঁদের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিলে ধর্মনিরপেক্ষ জোটের পক্ষে ভোট টানা সহজ হবে। কিন্তু বিজেপি ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মুর নাম তোলায় নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন, সত্যিই দ্রৌপদীকে প্রার্থী করা হলে তিনি কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গ জয়েই বিজেপি-র স্বর্ণযুগ আসবে: অমিত শাহ
আজ এক কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল একে মহিলা, তায় আদিবাসী। ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও ছত্তীসগঢ়, অন্ধ্রের আদিবাসী ভোটব্যাঙ্কের কথা ভেবে তাঁর বিরোধিতা করা কঠিন। বিরোধিতার কারণ ব্যাখ্যা করাটা মুশকিল হয়ে উঠবে।’’
দ্রৌপদী মুর্মু ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ এলাকার বিজেপি নেত্রী। বিধায়কও ছিলেন। ২০১৫-য় তাঁকে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল নিয়োগ করে মোদী সরকার। তিনিই ওই রাজ্যের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল। বিজেপির ওড়িশার নেতারা মনে করছেন, দ্রৌপদী রাষ্ট্রপতি হলে ২০১৯-এ ওড়িশার বিধানসভা ভোটে এক কদম এগিয়ে থাকবেন তাঁরা। তিনিই হবেন প্রথম ওড়িয়া রাষ্ট্রপতি। আরএসএস-ও মনে করছে, আদিবাসী এলাকায় জনসমর্থন মজবুত করতে তাঁদের সুবিধা হবে। আর এই কৌশলই বিপাকে ফেলছে কংগ্রেসকে।