নিপা-রোগীদের চিকিৎসায় গোরক্ষপুরের ‘বিতর্কিত’ চিকিৎসক কাফিল খানকে কেরলে স্বাগত জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। দু’দিনের মধ্যেই ভোলবদল! এখনই তাঁর আসার প্রয়োজন নেই বলে বৃহস্পতিবার রাতে কাফিলকে ফোনে জানিয়ে দিয়েছে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর।
এ দিন ফোনে কাফিল বলেন, ‘‘কেরলের সিএম অফিস থেকে গত রাতে ফোন এয়েছিল। ওরা জানিয়েছে, দিল্লি এইমস থেকে বিশেষজ্ঞদের একটি দলকে কেরল পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই আমার কেরল যাওয়ার টিকিট কয়েক দিনের জন্য পিছিয়ে দিতে বলেছে।’’ ফলে শুক্রবার দুপুরে লখনউ থেকে কোচিগামী বিমানের টিকিট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন ওই চিকিৎসক।
বুধবার বিজয়ন সরকার কাফিলকে সেখানে স্বাগত জানানোর পর প্রস্তুতি চলছিল পুরোদমে। প্রাথমিক ভাবে বাধা দিলেও পরে ছেলের এই সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছিলেন কাফিলের মা-ও। কাফিলের সঙ্গে দাদা আদিল যাবেন বলেও স্থির হয়। হঠাৎ এই ছন্দপতন। ঘটনাক্রমের এই পরিবর্তনের কারণ হিসাবে উত্তরপ্রদেশ সরকার ‘দায়ী’ বলে মনে করছেন কাফিল। তাঁর আক্ষেপ, ‘‘কেরলের সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে যাচ্ছিলাম। এর জন্য টাকাপয়সাও নেব না। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ সরকার তা চাইছে না। ওরা আমার সাসপেনশনও তুলে দিচ্ছে না, আবার আমাকে চিকিৎসকের দায়িত্বও পালন করতে দিচ্ছে না।’’
গত সেপ্টেম্বরে শিশুমৃত্যুর ঘটনার সময় গোরক্ষপুরের বিআরডি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন কাফিল। বৃহস্পতিবার সেই হাসপাতালের অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে কেরল যাওয়ার অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছেন তিনি। চিঠি পাঠিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের ডিজিএমই (ডিরেক্টর জেনারেল মেডিক্যাল এডুকেশন) দফতরেও। ওই দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক ফোনে বলেন, ‘‘চিঠিটি রাজ্য সরকারের অনুমতির জন্য পাঠানো হয়েছে। তাতে সময় তো লাগবেই।’’ তিনি জানালেন, জামিনে মুক্ত তবে সাসপেনশনে থাকা ওই চিকিৎসক এখনও সরকারি কর্মী। তাই ভিন রাজ্যে যাওয়া তো বটেই, প্রাইভেট প্র্যাকটিসও অনুমতি ছাড়া করতে পারেন না তিনি।
তবে আশা ছাড়ছেন না কাফিল। আগামী কয়েক দিন লখনউয়ে থেকেই কেরলের বিমানে ওঠার অপেক্ষায় থাকবেন তিনি।