দুই প্রজাতির কুকুর নিষিদ্ধ। —ফাইল ছবি
পিটবুল, রটওয়েলারের মতো প্রজাতির কুকুর নিষিদ্ধ করা হল কানপুরে। গত কয়েক দিন ধরে এই ধরনের কুকুরগুলির আক্রমণের ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছিল। মঙ্গলবার তাই এই দুই প্রজাতির কুকুরের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল।
কানপুর পুরসভা এলাকায় পিটবুল এবং রটওয়েলার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মেয়র প্রমীলা পাণ্ডে জানিয়েছেন কানপুর পুরসভা এলাকায় এই দুই ধরনের কুকুর পোষা যাবে না। যদি কারও কাছে পিটবুল বা রটওয়েলার পাওয়া যায়, তৎক্ষণাৎ তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। সেই সঙ্গে হবে ৫ হাজার টাকা জরিমানাও। দিন চারেক আগে এই কানপুরেই পিটবুলের আক্রমণে গুরুতর জখম হয়েছিল একটি গরু। সমাজমাধ্যমে সেই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছিল। তার পরেই বিশেষ প্রজাতির কুকুর নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করল প্রশাসন।
বস্তুত, পিটবুল এবং রটওয়েলার উভয়েই তুলনামূলক হিংস্র প্রজাতির। ২৩ সেপ্টেম্বরের ঘটনার ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল, একটি গরুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে পিটবুল। তার মালিক এবং আশপাশের লোকজন অনেক চেষ্টা করেও কুকুরটিকে সরাতে পারছেন না। গরুটির চোয়াল কামড়ে ধরেছিল হিংস্র পিটবুল। লাঠি দিয়ে কুকুরটিকে মারলেও সে গরুটিকে ছাড়েনি।
বেশ কিছুক্ষণ এমন চলার পর অবশেষে পিটবুলকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তত ক্ষণে গরুটির চোয়াল থেকে গলগল করে রক্ত ঝরছিল। আপাতত তার চিকিৎসা চলছে। অ্যান্টি-র্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে তাকে।
শুধু কানপুর নয়, উত্তরপ্রদেশের অন্যান্য শহরেও গত কয়েক দিনে হিংস্র কুকুরের হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। মানুষকেও আক্রমণ করেছে পিটবুল কিংবা রটওয়েলার। গাজিয়াবাদে ১১ বছরের এক শিশুকেও কিছু দিন আগে ভয়ানক আক্রোশে কামড়ে দিয়েছিল পিটবুল। শিশুটির মুখে ১৫০টি সেলাই করতে হয়েছে। তার আগে ৮২ বছরের এক বৃদ্ধাও কুকুরের কামড়ে মারা গিয়েছিলেন। গত কয়েক দিনের ঘটনাপ্রবাহ দেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানপুর পুরসভা।
বস্তুত, পিটবুল কুকুরের কোনও নির্দিষ্ট প্রজাতি নয়। অনেক ধরনের পিটবুল হয়। কুকুরের লড়াইয়ে এদের কাজে লাগানো হয়। হিংস্র এবং শক্তিশালী কুকুর হিসাবে পরিচিত পিটবুল। রটওয়েলারও শক্তিশালী এবং পেশিবহুল। গবাদি পশুদের নিয়ন্ত্রণের জন্য এদের কাজে লাগানো হয়।