নীতি আয়োগে যাবেন কি মমতা

সূত্রের খবর, নীতি আয়োগের ওই বৈঠকে মূলত কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কার নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে গরিব চাষিদের উপকারে প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৯ ০২:৪১
Share:

নতুন করে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসে নরেন্দ্র মোদী এ বার ফের দেশের সব মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। আগামী ১৫ জুন নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে সেই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির থাকবেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি।

Advertisement

সূত্রের খবর, নীতি আয়োগের ওই বৈঠকে মূলত কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কার নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে গরিব চাষিদের উপকারে প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরবেন। সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা চাইবেন। কৃষিপণ্য বাজার কমিটি আইন ও অত্যাবশ্যক পণ্য আইনে সংস্কার আলোচ্যসূচিতে থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও সব রাজ্যের রাজ্যপাল ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপ-রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদেরও এক মঞ্চে নিয়ে আসা হচ্ছে।

গত সপ্তাহে নতুন সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রথমে হাজির থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েও পরে পিছিয়ে যান মমতা। প্রথমে তিনি প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণকে সাংবিধানিক অনুষ্ঠান বলে অন্য কয়েক জন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু পরে জানা যায়, ওই অনুষ্ঠানে রাজ্যে নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারদেরও আনা হচ্ছে। তার পরেই সাংবিধানিক অনুষ্ঠানকে ঘিরে রাজনীতি করার অভিযোগ এনে দিল্লি সফর বাতিল করেন মমতা।

Advertisement

নীতিগত ভাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগের বিরোধী। যোজনা কমিশন তুলে দিয়ে নীতি আয়োগ তৈরির প্রতিবাদও করেছিলেন তিনি। এই নিয়ে নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের পঞ্চম বৈঠক বসছে। মোদী প্রথম বার ক্ষমতায় আসার পরে নীতি আয়োগের প্রথম বৈঠকে যাননি মমতা। সে বার তিনিই ছিলেন একমাত্র অনুপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীরাই আয়োগের পরিচালন পরিষদের সদস্য। ফলে সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর বদলে অন্য কেউ যোগ দিতে পারবে না। কাজেই মমতা না এলে বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিত্ব থাকবে না । মমতা অবশ্য গত বছর জুন মাসে নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে মমতা ও চন্দ্রবাবু নায়ডু মিলে মোদী সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। রাজ্যের বিষয়ে কেন্দ্রের অপ্রয়োজনে নাক গলানো, আর্থিক বঞ্চনা থেকে কেন্দ্রের একতরফা নীতি নির্ধারণ নিয়ে সরব হয়েছিলেন দু’জনে। বৈঠকের আগে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মমতা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement