Murder

দিল্লির বাড়িতে খুন বৃদ্ধ চিকিৎসক, লুট

৬৩ বছর বয়সি যোগেশচন্দ্র পাল ছিলেন জেনারেল ফিজিশিয়ান। বাড়িতেই একটি ক্লিনিক রয়েছে তাঁর। তাঁর স্ত্রী নীনা পালও সরকারি চিকিৎসক। বিবাহিত দুই মেয়ে রয়েছে তাঁদের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২৪ ০৮:৪৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

বাড়িতে চড়াও হওয়া দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হলেন বৃদ্ধ চিকিৎসক। খাস নয়াদিল্লির জঙ্গপুরার ঘটনা। বাড়ি থেকে লুট হয়েছে নগদ টাকা ও গয়নাও। পুলিশ গিয়ে রান্নাঘরে চেয়ারে দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ওই চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করে।

Advertisement

৬৩ বছর বয়সি যোগেশচন্দ্র পাল ছিলেন জেনারেল ফিজিশিয়ান। বাড়িতেই একটি ক্লিনিক রয়েছে তাঁর। তাঁর স্ত্রী নীনা পালও সরকারি চিকিৎসক। বিবাহিত দুই মেয়ে রয়েছে তাঁদের। চিকিৎসক দম্পতি বাড়িতে একাই থাকতেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিট নাগাদ নীনার ফোন পেয়ে পুলিশ দক্ষিণ দিল্লির জঙ্গপুরার সি ব্লকের বাড়িটিতে যায়। নীনা পুলিশকে জানান, ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। ফিরে এসে ওই অবস্থা দেখে থানায় ফোন করেন। স্থানীয় আবাসিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি কপিল কক্কর জানান, যোগেশ জন্ম থেকেই ওই এলাকার বাসিন্দা। পরোপকারী বলে কলোনিতে জনপ্রিয় ছিলেন।

হজরত নিজামুদ্দিন থানার পুলিশ রান্নাঘর থেকে যোগেশের দেহ উদ্ধার করে। দেহ ময়না তদন্তের জন্য এমসে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে যোগেশকে। পুলিশ সূত্রের খবর, শৌচাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছিল পোষ্য দু’টি কুকুরকে। ফলে, নির্বিঘ্নেই খুন ও লুটপাঠ চালাতে পেরেছে দুষ্কৃতীরা। দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ-পূর্ব) রাজেশ দেও বলেন, “ডাকাতির চিহ্ন মিলেছে। ঘরগুলো তছনছ করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে মনে হচ্ছে, ডাকাতির পরে চিহ্নিত হয়ে যাওয়ার ভয়েই ওই চিকিৎসককে খুন করেছে অভিযুক্তেরা।”

Advertisement

স্থানীয় এক বাসিন্দা দাবি করেছেন, তাঁর গৃহসহায়িকা ওই দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ যোগেশকে দেখেন অন্য একটি ক্লিনিক থেকে ফিরে বাড়ি ঢুকতে। সচরাচর ওই সময়ে তিনি বাড়ি ফিরে বিশ্রাম নিতেন। যোগেশ বাড়িতেও রোগী দেখতেন। দুষ্কৃতীদের রোগীর ভেক ধরে আসার সম্ভাবনার দিকটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তার পাশাপাশি, খুনের পিছনে পরিচিত কারও জড়িত থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। বাড়ি থেকে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন।

পুলিশের একটি সূত্রে খবর, মোট চার জন দুষ্কৃতী ছিল বলে এলাকার নজরদারি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে মনে করা হচ্ছে। তাদের তিন জন বাড়িতে ঢুকেছিল, এক জন বাইরে পাহারায় ছিল। তবে তাদের চেহারা স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে না ফুটেজে। পুলিশ ছ’টি বিশেষ দল গড়ে তাদের খোঁজ শুরু করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement