চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছে ঝাঁসি পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।
এক তরুণীকে বাড়িতে ডেকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন এক চিকিৎসক। এই কথা চাউর হতেই চিকিৎসকের উপর চড়াও হয় তরুণীর পরিবার। অভিযোগ, চিকিৎসককে প্রথমে মারধর করা হয়। তার পর দড়ি দিয়ে বেঁধে জুতো পেটা করে গ্রামে ঘোরানো হয়। ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আক্রান্ত চিকিৎসকের নাম নরেন্দ্র আর্য। ঝাঁসিতে তাঁর একটি ক্লিনিক রয়েছে। রবিবার শিবগঞ্জে নিজের বাড়িতে কাজ করছিলেন নরেন্দ্র। সেই সময় এক দল লোক আচমকাই তাঁর বাড়িতে জোর করে ঢুকে পড়েন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চিকিৎসককে ঘর থেকে টানতে টানতে রাস্তায় বার করে নিয়ে আসেন। তার পর তাঁকে মারধরের পর দড়ি দিয়ে বেঁধে একটি ঠেলাগাড়িতে বসিয়ে জুতোপেটা করতে করতে গোটা এলাকা ঘোরানো হয়। স্থানীয়দের মধ্যে অনেকেই এই ঘটনার ভিডিয়ো করেন। তার পর সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে শেয়ার করা হয়।
ভিডিয়োটি পুলিশের কাছে পৌঁছতেই তারা অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, সোমবার তাঁদের কাছে ভিডিয়োটি এসে পৌঁছনোর পরই একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। দ্রুত তাঁদের গ্রেফতার করা হবে। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এলাকার এক তরুণীকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করানোর ব্যবস্থা করিয়ে দিয়েছিলেন চিকিৎসক। নিজের বাড়িতেই সেই সাক্ষাতের আয়োজন করেছিলেন তিনি। এটাই ছিল চিকিৎসকের ‘অপরাধ’। তরুণীর বাড়ির লোকেরা এই ঘটনা জানার পর চিকিৎসকের উপর চড়াও হন।