৬৭৫ মিটার দীর্ঘ এবং ৩৫.২ মিটার প্রশস্ত সেতুটি। ১৪ বছর আগে এটির নির্মাণ শুরু হয়েছিল। দীর্ঘ টালবাহানার পর ৪ নভেম্বর খুলল সেতুটি।
যমুনা নদীর উপরে সেতুর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। দেখানো হয় একটি লেজার শো-ও।
বুমেরাঙের আকারে ১৫টি কেবল লাগানো হয়েছে সেতুটিতে। যা ৩৫০ মিটার সেতুর ওজন ধরে রেখেছে। তাও আবার কোনও থামের সাহায্য ছাড়াই। এটিকেই বলে ‘অ্যাসিমেট্রিক্যাল কেবল স্টেইড’।
এতে প্রধান যে থামটি রয়েছে, তার উচ্চতা ১৫৪ মিটার। তার উপরের অংশের চারিদিক কাচ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে জাহাজের পাটাতনের মতো একটি জায়গা গড়া হয়েছে। লিফটে চড়ে সেখানে পৌঁছতে পারা যাবে। উপর থেকে গোটা শহরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন দর্শক।
সেতুটি চালু হলে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিল্লির মধ্যে যাতায়াতের সময় বাঁচবে। যানজট কমবে ওয়াজিরাবাদ সেতুর। মূলত যে কারণে নয়া সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর উপর অবস্থিত সঙ্কীর্ণ ওয়াজিরাবাদ সেতুতে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে। তাতে মৃত্যু হয় ২২ স্কুল পড়ুয়ার। যার পর যমুনার উপর আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি একটি প্রশস্ত সেতু গড়ার পরিকল্পনা নেয় তৎকালীন দিল্লি সরকার। তবে কাজ শুরু হয় তার ৬ বছর পর, ২০০৪ সালে।
তবে সেতুর উপরে পাটাতন থেকে রাজধানীর সৌন্দর্য দেখার সুযোগ মিলবে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। কারণ তার জন্য যে চারটি লিফট তৈরি হচ্ছে, সেগুলি চালু হতে সময় লাগবে আরও দু’মাস। যার পর এক সঙ্গে ৫০ জনকে উপরের এই পাটাতনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। সেতুর উপর রয়েছে বিশেষ নিজস্বী তোলার জায়াগাও।
চলন্ত বাইক নিয়ে স্টান্ট করার সময় সেলফি তুলতে গিয়ে দুই যুবকের মৃত্যু হয় এখানে। এই সেতু সংবাদের শিরোনামে এসেছে সমকামীদের নগ্ন নাচের কারণেও।