এই ছবি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেই রেলে প্রবীণদের বঞ্চনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল গান্ধী।
রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে কুঁড়ে ঘরের মডেল। তাতে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনায় ১০ কোটি গরিব পরিবারের মহিলাকে নিখরচায় রান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়ার বিজ্ঞাপন। তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাটআউট। সরকারি পরিভাষায় ‘থ্রি-ডি সেলফি বুথ’। কিন্তু সেই বুথের সামনেই সাধারণ মানুষ প্ল্যাটফর্মের মেঝেতেই শীতের রাতে চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে রয়েছেন। রাহুল গান্ধী আজ এই ছবিকে হাতিয়ার করে নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করলেন। তাঁর প্রশ্ন, ভারতের আমজনতার কি সুলভে রেল যাত্রা, সস্তায় গ্যাস সিলিন্ডার প্রয়োজন? না কি ‘শাহেনশাহ’-র মূর্তির সঙ্গে ছবি?
শুধু রেল স্টেশন নয়। লোকসভা ভোটের আগে মোদী সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচারে কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত দফতরেই নরেন্দ্র মোদীর কাটআউট-সহ থ্রি-ডি সেলফি বুথ তৈরি করা হয়েছে। ইচ্ছে করলে যে কেউ সেই কাটআউটের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে পারেন। ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি মধ্য রেল তথ্যের অধিকার আইনে জানিয়েছে, এক একটি স্থায়ী বুথের পিছনে খরচ হয়েছে ৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। অস্থায়ী বুথ পিছু খরচ পড়েছে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। ৫০টি স্টেশনে বুথ তৈরি করতে মোট ১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। উত্তর রেল জানিয়েছে, তারাও ১০০টি স্টেশনে এমন বুথ বসাচ্ছে। রেলের অন্যান্য জ়োনও একই কাজ করছে। কংগ্রেস নেতারা আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন, তিন বছর আগে বয়স্ক নাগরিকদের জন্য রেলের টিকিটে ছাড় তুলে দেওয়া হয়েছে। ২০২২-২৩ সালে রেল মন্ত্রক সেই বাবদ ২২৪২ কোটি টাকা আয় করেছে। সেই অর্থে প্রধানমন্ত্রীর প্রচার হচ্ছে। আজ রাহুল বলেছেন, গরিবদের যাতায়াতের উপায় রেল সব স্তরে ভাড়া বাড়িয়েছে। বয়স্কদের ছাড় তুলে দেওয়া হয়েছে। প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দামও বাড়ানো হয়েছে। বেসরকারিকরণের দরজা খোলা হয়েছে। সেলফি বুথ তৈরির জন্য কি আমজনতার পরিশ্রমের টাকা শুষে নেওয়া হয়েছিল? দেশের জনতার কী প্রয়োজন? সস্তায় গ্যাস সিলিন্ডার ও সুলভে রেল যাত্রা? না কি শাহেনশাহ-র মূর্তির সঙ্গে ছবি?