বিচারপতি ধনঞ্জয় চন্দ্রচূড়
দু’দিন আগেই ‘অপরাধ নয়’ বলে সমকামিতাকে বৈধতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কেন শীর্ষ আদালতের কোর্টেই বল ঠেলে দেওয়া হল, তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আজ পরোক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করলেন বিচারপতি ধনঞ্জয় চন্দ্রচূড়। তাঁর কথায়, ‘‘রাজনীতিকেরা কেন নিজেদের ক্ষমতা (তথা আইন প্রণয়নের অধিকার) বিচারপতিদের হাতে তুলে দিচ্ছেন? সুপ্রিম কোর্টে প্রতি দিন এটাই ঘটতে দেখছি।’’ ৩৭৭ ধারার যে অংশ সমকামিতাকে ‘প্রকৃতিবিরুদ্ধ’ বলত, সেটিকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করেছে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
বিচারপতি চন্দ্রচূড়ও সেই বেঞ্চে ছিলেন। আজ দিল্লিতে জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে তিনি জানান, ওই রায় আদতে ঔপনিবেশিক আমলের আইনের বিরুদ্ধে সংবিধানসম্মত আইনের লড়াইটা তুলে ধরেছিল। এ দিন তাঁর বক্তব্যের বিষয় ছিল ‘সাংবিধানিক গণতন্ত্রে আইনের শাসন’। সেই সূত্রেই বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বক্তব্যে উঠে আসে ৩৭৭ প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘‘কোনও ব্যক্তির যৌন পছন্দ কিংবা যৌনতার অভিব্যক্তিকে কী ভাবে দেখা হবে, সংবিধানের ১৫ নম্বর ধারায় তা স্পষ্ট বলা আছে। দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় এই বিষয়টিকে যে ভাবে ছকে বাঁধা হয়েছিল, সেটা সংবিধানের ১৫ নম্বর ধারার পরিপন্থী।’’