ইন্দোলেশিয়ায় লায়ন এয়ারের বিমান দুর্ঘটনার পর তল্লাশি। —ফাইল চিত্র
যে যান্ত্রিক সমস্যায় জাভা সাগরে ভেঙে পড়েছিল ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের বিমান, তেমন সমস্যা ভারতে ম্যাক্স বিমানে হলে কী কী করতে হবে, সে সম্পর্কে নির্দেশিকা পাঠাল ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)।
ওই দুর্ঘটনার পরে ইন্দোনেশিয়ার একটি তদন্ত রিপোর্ট ডিজিসিএ-র হাতে এসে পৌঁছেছে। তার ভিত্তিতে এই নির্দেশিকা।
লায়ন এয়ারের ওই বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের ককপিটে দু’বার বিপদসঙ্কেত আসার পরে চালক সেই সমস্যার সমাধান করেন, কিন্তু তৃতীয় বার একই সঙ্কেত আসার পর তিনি তা ‘অফ’ করেন। তার জেরেই বিপর্যয়।
ভারতে জেট এয়ারওয়েজ এবং স্পাইসজেটের ৮টি ম্যাক্স বিমান রয়েছে। আগামী দিনে আরও ৪০০টি ম্যাক্স বিমান কেনার বরাত দিয়েছে তারা। দিন কয়েক আগে ওই দুই সংস্থার অপারেশন এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন ডিজিসিএ-র কর্তারা।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও ম্যাক্স বিমানে ওই সমস্যা দেখা দিলে তা সারিয়েই সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের নিয়ে ওড়া যাবে না। তার আগে পরীক্ষামূলক উড়ানের প্রয়োজন। ম্যাক্স বিমানে ওই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে পাইলট যেন তখনই নিকটবর্তী বিমানবন্দরে নেমে আসেন। তখনকার মতো কী ব্যবস্থা নিতে হবে, সে সম্পর্কে পাইলটদের যেন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ডিজিসিএ-এর নির্দেশ, ওই ধরনের সমস্যা হলে কী করা উচিত, প্রশিক্ষণ বিমানে (সিমুলেটর) যেন তা অনুশীলন করা হয়।