Air India Pee Gate

বিমানে প্রস্রাবকাণ্ডে এয়ার ইন্ডিয়াকেও শাস্তি! ৩০ লক্ষ টাকা জরিমানা, সাসপেন্ড করা হল চালককেও

নিউ ইয়র্ক থেকে নয়াদিল্লিগামী বিমানে এক সত্তরোর্ধ্বা বৃদ্ধার গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগ উঠেছিল এক মদ্যপ সহযাত্রীর বিরুদ্ধে। ওই যাত্রীকে তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এয়ার ইন্ডিয়া।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:১৬
Share:

বিমানে প্রস্রাবকাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন শঙ্কর মিশ্র, এ বার শাস্তি পেল এয়ার ইন্ডিয়াও। ফাইল চিত্র।

প্রস্রাবকাণ্ডের জন্য শাস্তি পেল বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়াও। ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণের নিয়ামক সংস্থা ডিজিসিএ এয়ার ইন্ডিয়াকে এই ঘটনায় ৩০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। নিউ ইয়র্ক থেকে নিউদিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানেই এক সত্তরোর্ধ্বা বিমানযাত্রীর গায়ে আর এক সহযাত্রীর মত্ত অবস্থায় প্রস্রাব করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সেই ঘটনায় বিমান সংস্থার পাশাপাশি বিমানের ভারপ্রাপ্ত চালককেও শাস্তি দিয়েছে ডিজিসিএ। ঘটনাটির জন্য সে দিনের বিমানচালককে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

গত ২৬ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ওই ঘটনার জন্য বিমান সংস্থাকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছিল ডিজিসিএ। নোটিস পাঠানো হয়েছিল ওই বিমানের অ্যাকাউন্টেবল ম্যানেজার ডিরেক্টর-ইন-ফ্লাইট সার্ভিস, সমস্ত বিমানচালক এবং এয়ার ইন্ডিয়ার ক্রু সদস্যদেরও। তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কেন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ করা হবে না। বিমান সংস্থা এবং তার কর্মীদের লিখিত জবাব খতিয়ে দেখেই শুক্রবার পরবর্তী পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করে ডিজিসিএ।

প্রথমত, এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে ৩০ লক্ষ টাকার আর্থিক জরিমানা করা হয়। কারণ তারা ডিজিসিএ নির্ধারিত অসামরিক বিমান পরিবহণ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় বিধিভঙ্গ করেছে।

Advertisement

দ্বিতীয়ত, ২৬ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার নিউ ইয়র্ক থেকে দিল্লিমুখী বিমানের পাইলটের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে তিন মাসের জন্য। কারণ তিনি উড়ান সংক্রান্ত নিয়মাবলীর ১৪১ নম্বর বিধিভঙ্গ করেছেন।

তৃতীয়ত, এয়ার ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর-ইন-ফ্লাইট সার্ভিসকেও ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে কর্তব্যে গাফিলতির জন্য।

গত ২৬ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানের বিজনেস ক্লাসের যাত্রী শঙ্কর মিশ্রের বিরুদ্ধে মত্ত অবস্থায় এক প্রবীণ সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় মিশ্রের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। বেঙ্গালুরু পুলিশ তাঁকে গ্রেফতারও করে। পরে মিশ্রের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, মিশ্র নন, ওই সত্তরোর্ধ্বা বৃদ্ধা নিজেই শারীরিক অসুস্থতার ফলে নিজের পোশাকটি প্রস্রাব করে ভিজিয়ে ফেলেছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement