অভব্য যাত্রীদের দমনে কড়া হবে বিমান সংস্থাগুলো। — ফাইল ছবি।
এয়ার ইন্ডিয়ার আন্তর্জাতিক উড়ানে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার ঘটনায় এ বার বিমান সংস্থাগুলোর উদ্দেশে নির্দেশ জারি করল ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন’ (ডিসিজিএ)। মাঝ আকাশে কোনো যাত্রী অসভ্যতা করছেন দেখতে পেলেই কড়া হাতে তা দমন করতে হবে। কারণ এই ধরনের ঘটনায় ভারতে বিমানে ভ্রমণের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় বলে মনে করছে ডিজিসিএ।
এই ধরনের ঘটনা ঘটলে কী করবেন বিমানকর্মীরা, ডিজিসিএ তার একটি তালিকা তুলে দিয়েছে বিমান সংস্থাগুলোর হাতে। যেখানে বলা আছে, কোন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে বিমানকর্মীদের। ডিজিসিএ নির্দেশিকায় জানিয়েছে, ‘‘বিগত কিছু দিন ধরেই দেখা যাচ্ছে, মাঝ আকাশে এমন অভদ্র ও দুর্বিনীত যাত্রীরা উৎপাত শুরু করছেন। বিশেষ বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই গোলমাল সামাল দিতে ব্যর্থ হতে দেখা যাচ্ছে বিমান চালক এবং বিমানকর্মীদের।’’
ডিজিসিএ নির্দেশিকায় স্পষ্ট লিখেছে, মুখে বোঝানোর পরও যদি দেখা যায় যাত্রীকে সামলানো যাচ্ছে না, তাহলে পরিস্থিতি বুঝে কড়া হাতে তা দমন করতে হবে বিমান চালক এবং কর্মীদের। তবে কড়া হাতে দমনের মাধ্যমে ঠিক কী বোঝাতে চাইছে ডিজিসিএ, তা পরিষ্কার নয়। বিমানচালক বা বিমানকর্মীদের কারণেই এই ধরনের ঘটনায় ভারতে বিমানে ভ্রমণের ভাবমূর্তি কলুষিত হচ্ছে বলে মনে করে ডিজিসিএ। তাই এ বার থেকে এ সব ক্ষেত্রে ‘জ়িরো টলারেন্সে’র বার্তা জারি হল। এমন ঘটনা দেখেও যদি বিমান চালক বা বিমানকর্মীরা চেপে যান, তাহলে সংশ্লিষ্ট পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের মতো গুরুতর সংস্থান রাখা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, কঠিন শাস্তির সংস্থান থাকলে বিষয়গুলো চেপে রাখার প্রবণতা কমানো যাবে।
ডিজিসিএ জানিয়েছে, চলন্ত বিমানে শেষ কথা বলবেন চালক। তিনি বিমানের মধ্যে তৈরি হওয়া সমস্যা সম্পর্কে সবচেয়ে আগে অবহিত হবেন। তার পর নিজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তা বিমানের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে পাঠাবেন। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ‘‘বিমান অবতরণের পর বিমানের প্রতিনিধি দুর্বিনীত যাত্রীর বিরুদ্ধে প্রথমে এফআইআর দায়ের করবেন। তার পর ওই যাত্রীকে তুলে দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে।’’