এনসিপি নেতাদের বিজেপিতে যাওয়া নিয়ে বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়লেন শরদ পওয়ার ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। এনসিপি প্রধানের অভিযোগ, ‘‘সিবিআই, ইডি-সহ নানা কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে দলত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে অনেককেই।’’ যদিও, পওয়ারের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন দেবেন্দ্র ফড়নবীস। তাঁর দাবি, ‘‘কংগ্রেস ও এনসিপির নেতারাই বিজেপি আসার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন।’’
এনসিপি ছেড়ে তিন নেতা যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। আর তা নিয়েই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীসকে তোপ দেগেছেন পওয়ার। রবিবার তিনি বলেন, ‘‘ইডি, আয়কর, সিবিআইয়ের মতো সংস্থার অপব্যবহার করছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে দিয়ে ভয় দেখিয়েই দলত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। দেবেন্দ্র ফড়নবীস ও বিজেপি নেতৃত্ব দল ভাঙানোর খেলা চালাচ্ছেন। কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানেও এমন কাণ্ড ঘটছে।’’
অভিযোগের কড়া উত্তর দিয়েছেন ফড়ণবীসও। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস ও এনসিপি নেতারা দলত্যাগের জন্য উন্মুখ হয়ে রয়েছেন। কিন্তু, যাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে তাঁদের দলে নেওয়া হবে না। আমরা কারও পিছনে দৌড়চ্ছি না। মানুষই আমাদের কাছে আসছে।’’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি লেখা ৪৯ বিশিষ্টজনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা আদালতে
এ নিয়ে পওয়ারকেও বিঁধতে ছাড়েননি ফড়ণবীস। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি এমন চাপ দিয়ে দলত্যাগের রাজনীতি করে না। গত পাঁচ বছরে সরকার অনেক দুঃস্থ চিনিকলকে সাহায্য করেছে। কিন্তু, এটা কেউ জিজ্ঞাসা করছে না যে সে জন্য কত জন বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। পওয়ার সাহেবের নিজের ভেবে দেখা উচিত।’’
শনিবার, এনসিপি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন এনসিপি বিধায়ক বৈভব পিছড়। তার কিছুদিন আগেই মহারাষ্ট্রের শাসক জোটের শরিকশিবসেনায় যোগ দেন এনসিপির মুম্বইয়ের সভাপতি সচিন আহির। তা নিয়েই মুখ খোলেন শরদ পওয়ার।
আরও পড়ুন: কর্নাটকে নয়া মো়ড়, ১৪ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ করলেন স্পিকার, স্বস্তিতে বিজেপি
এ দিন শরদ পওয়ার বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে মোট ২৮৮ আসনের মধ্যে ২৪০টিতে কংগ্রেসের সঙ্গে এনসিপির সমঝোতা হয়েছে।’’ জোটে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস) থাকবে কি না, সে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমি মুম্বইয়ে কয়েকজন এমএনএস নেতার সঙ্গে দেখা করেছি। সম্প্রতি রাজ ঠাকরে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গেও কথা বলেছেন। তারা ইভিএম তুলে দেওয়ার দাবিতে ভোট বয়কটের পক্ষে। অনেকেই ইভিএমের বিকল্প চান। কিন্তু, তাঁরা ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না।’’