দেবেন্দ্র ফডণবীস। —ফাইল চিত্র।
প্রথম দফায় মহারাষ্ট্রের ৯৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। প্রথম তালিকায় রয়েছেন মহারাষ্ট্রের বিদায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস, মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে, প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা, অধুনা বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অশোক চহ্বাণের কন্যা শ্রীজয়া চহ্বাণ। এ ছাড়াও ওই তালিকায় রয়েছে একনাথ শিন্ডে মন্ত্রিসভার সদস্য গিরীশ মহাজন, সুধীর মুঙ্গানতিওয়ার এবং অতুল সাভের নাম।
ফডণবীস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন নাগপুর দক্ষিণ-পশ্চিম কেন্দ্র থেকে। বাওয়ানকুলে প্রার্থী হচ্ছেন কামথি কেন্দ্রে। চলতি সপ্তাহেই বাকি কেন্দ্রগুলিতে প্রার্থীদের নাম জানানো হবে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে এক দফাতেই, আগামী ২০ নভেম্বর। ঝাড়খণ্ডের সঙ্গেই ভোটগণনা হবে ২৩ নভেম্বর। ভোটে মূল লড়াই বিজেপি, শিবসেনা, এনসিপির ‘মহাযুতি’ জোটের সঙ্গে কংগ্রেস, শিবসেনা (ইউবিটি) এবং এনসিপি (এসপি)-র ‘মহা আঘাড়ী জোটের’।
২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জোট বেঁধে লড়েছিল বিজেপি এবং শিবসেনা। বিজেপি পেয়েছিল ১০৫টি আসন। আর শিবসেনা জয়ী হয়েছিল ৫৬টি আসনে। শিবসেনার তরফে আড়াই বছর-আড়াই বছর সূত্রে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি তোলা হয়েছিল। অর্থাৎ, বিজেপির কেউ আড়াই বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন। আর বাকি আড়াই বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন শিবসেনার কেউ। কিন্তু বিজেপি এই রফায় রাজি হয়নি। তার জেরেই ভেঙে যায় দুই দলের দীর্ঘ দিনের জোট।
গত বিধানসভায় বিরোধী দলগুলির মধ্যে অবিভক্ত এনসিপি ৫৪টি এবং কংগ্রেস ৪৪টি আসন পেয়েছিল। পরে অবিভক্ত শিবসেনা এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করে। মুখ্যমন্ত্রী হন বালাসাহেব-পুত্র উদ্ধব ঠাকরে। ২০২২ সাল পর্যন্ত সরকার চালায় মহা বিকাশ আঘাড়ী জোট। পরে অবশ্য একনাথ শিন্ডের হাত ধরে শিবসেনা এবং শরদ পওয়ারের ভাইপো অজিত পওয়ারের হাত ধরে এনসিপিতে ভাঙন ধরে। পরিষদীয় শক্তির বিচারে পরে বিচ্ছিন্ন দুই গোষ্ঠীই অবিভক্ত দলের নাম এবং প্রতীকের অধিকারী হয়। দুই দলই বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকারে যোগ দেয়। মুখ্যমন্ত্রী হন একনাথ। পরে সরকারে যোগ দিয়ে ফডণবীসের সঙ্গেই উপমুখ্যমন্ত্রী হন অজিত।
দুই দল ভাঙিয়ে সরকার গঠন করলেও লোকসভা ভোটে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। উল্টে চমক দেখায় ‘মহা বিকাশ আঘাড়ি’ তথা ‘ইন্ডিয়া’। যুযুধান দুই জোটের নেতারাই আসন বণ্টন নিয়ে শরিকদের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত। ‘ইন্ডিয়ার’ অন্দরের খবর, অধিকাংশ আসনে জোটের বিষয়ে মতৈক্য হলেও এখনও গোটা ২৫ আসন নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন। তবে সোমবার তিন দলের নেতারা এক সঙ্গে বসে বিরোধী জোটের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারেন বলে ওই সূত্রের খবর।