Supreme Court

ঘৃণাভাষণে পদক্ষেপ না করায় ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট

আগামী রবিবার মুম্বইয়ে ‘সকল হিন্দু সমাজ’ নামে উগ্র হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন সভার ডাক দিয়েছে। তা বন্ধ করতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন শাহিন আব্দুল্লা নামে এক ব্যক্তি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৫০
Share:

সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।

আদেশ সত্ত্বেও ঘৃণাভাষণ নিয়ে পদক্ষেপ না হওয়ায় ক্ষোভ জানাল সুপ্রিম কোর্ট। বিদ্বেষ ছড়ানো বক্তৃতা ঠেকাতে নির্দেশ দেওয়া শীর্ষ আদালতের কাছে ‘বার বার বিব্রত’ হওয়ার শামিল বলে পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছেন বিচারপতিরা। তবে যে কর্মসূচি ঠেকাতে এই সংক্রান্ত পিটিশন দাখিল হয়েছিল, শুক্রবার মহারাষ্ট্র সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, সেটির অনুমতি দেওয়া হবে ঘৃণাভাষণ না-হওয়ার নিশ্চয়তা পেলেই। আদালত পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে, পুরো অনুষ্ঠানের ভিডিয়ো করতে।

Advertisement

আগামী রবিবার মুম্বইয়ে ‘সকল হিন্দু সমাজ’ নামে উগ্র হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন সভার ডাক দিয়েছে। তা বন্ধ করতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন শাহিন আব্দুল্লা নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগ করা হয়েছে, গত রবিবারই ওই সংগঠনের ‘হিন্দু জন আক্রোশ মোর্চা’ থেকে সংখ্যালঘু বিদ্বেষী ঘৃণাভাষণ দেওয়া হয়েছিল। তার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়।

জরুরি শুনানির আর্জি নিয়ে পিটিশনটি বৃহস্পতিবার গিয়েছিল বিচারপতি কে এম জোসেফ, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি হৃষীকেশ রায়ের বেঞ্চে। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, ‘‘আমরা এ ব্যাপারে আপনাদের সঙ্গেই আছি, কিন্তু প্রত্যেক বার সভা ডাকলেই সুপ্রিম কোর্ট নড়েচড়ে বসতে পারে না। আমরা ইতিমধ্যেই যথেষ্ট স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছি।... আমাদের নির্দেশ দিয়ে বারংবার বিব্রত হতে বলবেন? এত নির্দেশ দিলেও কেউ পদক্ষেপ করেনি। সুপ্রিম কোর্টকে ঘটনা ধরে ধরে নির্দেশ দিতে বলা চলে না।’’

Advertisement

শুক্রবার বিচারপতি কে এম জোসেফ এবং জে বি পাদরিওয়ালার বেঞ্চে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা প্রশ্ন তোলেন, মহারাষ্ট্রের সভা নিয়ে কেরলের মামলাকারীর মাথাব্যথা কেন? তিনি বলেন, ‘‘আদালত কি সভার অনুমতি দেওয়ার কর্তৃপক্ষে পর্যবসিত হবে?’’ কর্মসূচি রদ করা ভাষণের আগেই ‘সেন্সরশিপ’ বলে সওয়াল করেন তিনি। মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল প্রতিশ্রুতি দেন, ওই কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হলে সেটা অবশ্যই কোনও ঘৃণাভাষণ বা শান্তিভঙ্গ না করার শর্তে।

মামলাকারীর আইনজীবী কপিল সিব্বলের দাবি মেনে নিয়ে রায়ে স্থানীয় থানার আধিকারিককে বলা হয়েছে, সভার ভিডিয়োগ্রাফি করে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে। গত রবিবারের কর্মসূচি সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে রাজ্যকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে সলিসিটর জেনারেল মারফত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement