শনিবার রাজ ঠাকরের হুঁশিয়ারি দেন লাউড স্পিকারে হনুমান চালিসা বাজবে মসজিদের সামনে। ফাইল ছবি।
মসজিদে লাউডস্পিকারে আজান বাজানো যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার (এমএনএস) প্রধান রাজ ঠাকরে। মহারাষ্ট্র সরকার পদক্ষেপ না করলে মসজিদের সামনে লাউডস্পিকারে হনুমান চালিসা বাজানোর কথা বলেছিলেন। সেই কাজে বাড়তি আগ্রহে নেমে পড়েছেন দলীয় কর্মীরা।
রবিবার এক এমএনএস নেতার লাউডস্পিকার বাজেয়াপ্ত করে তাঁকে জরিমানা করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। কিন্তু তার পরেও দমানো যাচ্ছে না রাজ ঠাকরের কর্মিবাহিনীকে। এ বার একের পর এক মসজিদের সামনে হনুমান চালিসা বাজানোর জন্য আরও লাউডস্পিকার আনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।
রবিবার মুম্বইয়ের চান্দিভালি এলাকায় মহেন্দ্র ভানুশালি নামে এক এমএনএস নেতাকে আটক করে পুলিশ। মসজিদের সামনে একটি গাছে লাউডস্পিকার বেঁধে তাতে হনুমান চালিসা বাজাচ্ছিলেন তিনি। সেই লাউডস্পিকার খুলে নেয় পুলিশ। কিছুক্ষণ পর মহেন্দ্রকে ছেড়ে দিলেও তাঁকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি, পরে যাতে তিনি এমন কাজ আর না করেন, তার জন্য নোটিস দিয়েছে পুলিশ।
যদিও ছাড়া পাওয়ার পর মহেন্দ্রর দাবি, তাঁকে ভগবানের ‘আরতি’ করতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। তার পরেই ওই নেতা জানান, আগামী বুধবার থেকে প্রত্যেক সকাল-সন্ধ্যায় লাউডস্পিকারে হনুমান চালিসা বাজাবেন তাঁরা। সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে তার আয়োজন। ঠাকরের দল জানাচ্ছে, ইতিমধ্যে লাউডস্পিকারের বায়না দেওয়া হয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার একটি সভায় রাজ ঠাকরেকে বলতে শোনা যায়,‘‘মসজিদের সামনে লাউডস্পিকার লাগানোর কী প্রয়োজন? ওই ধর্ম যখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তখন কি লাউডস্পিকার ছিল?’’ এর পর তিনি জানান, এই কাজ বন্ধ না হলে তাঁর দলের নেতাকর্মীরা লাউডস্পিকারে হনুমান চালিসা বাজাবেন। এমনকি তাঁর এও অভিযোগ, মুম্বইয়ের মাদ্রাসাগুলিতে পাক সমর্থকেরা থাকেন। প্রশাসন তা জানা সত্ত্বেও নিশ্চুপ। পাশাপাশি শরদ পওয়ারের দল এনসিপি-র বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি করার অভিযোগ করেন তিনি।