বারাণসীতে নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
দেশ জুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ঘিরে বিক্ষোভের আঁচ ক্রমশ তপ্ত হয়ে উঠছে। কিন্তু তাতে পিছিয়ে আসার কোনও লক্ষণ কেন্দ্রীয় সরকার দেখাচ্ছে না। ফের এক বার সেই মনোভাব স্পষ্ট করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসী থেকে রবিবার মোদী জানিয়ে দিলেন, চাপের মুখে কোনও ভাবেই সিএএ চালু করা থেকে পিছিয়ে আসবেন না তিনি।
এ দিন দিল্লিতে ছিল কেজরীবালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। আমন্ত্রিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীও। আর দিল্লির এই লড়াইয়েই শোচনীয় পরাজয়ের মুখ দেখেছে বিজেপি। তাই সেই ‘কুরুক্ষেত্র’ এড়িয়ে এ দিন নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতে চলে আসেন তিনি। একটি জনসভায় তিনি বলেন, ‘‘বহু বছর ধরে দেশ সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার এবং সিএএ-এর মতো আইন চালু করার অপেক্ষায় ছিল। দেশের স্বার্থেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন ছিল।’’ এর পরই সিএএ চালু করা নিয়ে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে আমরা অটল এবং আমরা তা থাকবও। কোনও চাপের মুখেই তা থেকে পিছিয়ে আসব না।’’
এ দিন প্রধানমন্ত্রী যখন সিএএ নিয়ে হুঙ্কার দিচ্ছেন তখন কৃষ্ণ মেনন রোডে অমিত শাহের বাসভবনের উদ্দেশে মিছিল শুরু করেছিলেন শাহিন বাগের হাজার হাজার প্রতিবাদী। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল, সিএএ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা। যদিও অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি না থাকায় তা শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। তবে শাহিন বাগ বা জামিয়া মিলিয়ায় লাগাতার চলা সিএএ বিরোধী বিক্ষোভের কথা অজানা নয় প্রধানমন্ত্রীর। দিল্লির নির্বাচনে তাঁর বক্তব্যে বার বার উঠে এসেছে ওই দুই স্থানের নাম। সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভের ওই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়েই এ দিন পাল্টা তোপ দেগেছেন মোদী।
আরও পড়ুন: পুলিশি হস্তক্ষেপে মাঝপথ থেকেই ফিরলেন শাহিন বাগের প্রতিবাদীরা
আরও পড়ুন: মঞ্চে কেজরীবাল, সেলফি তোলার হুড়োহুড়ি খুদে মাফলারম্যানের সঙ্গে
এ দিন বারাণসীতে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের ৬৩ ফুট মূর্তি উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে মহাকাল এক্সপ্রেসের উদ্বোধন-সহ একাধিক প্রকল্পের সূচনাও করেন।