শীতকালীন অধিবেশনে এ বার সাসপেন্ড তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।
শীতকালীন অধিবেশনে এ বার সাসপেন্ড তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। রাজ্যসভার ১২ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করার পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ‘অভব্যতা’ করেছেন বলে অভিযোগ ডেরেকের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় নির্বাচনী আইন সংস্কার বিল নিয়ে আলোচনার সময় ১২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার প্রসঙ্গ টেনে গর্জে ওঠেন বিরোধীরা। অভিযোগ, সেই সময় উচ্চকক্ষের চেয়ারপার্সনের দিকে রুলবুক ছুড়ে মারেন ডেরেক।
সাসপেন্ড হওয়ার পর টুইটে ডেরেক লেখেন, ‘এর আগে কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে সাসপেন্ড হয়েছিলাম। সেই সময় কী হয়েছিল, তা আমরা সকলেই জানি। সংসদকে প্রহসনে পরিণত করেছে বিজেপি। আজ এর বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। আর নির্বাচনী আইন সংস্কার বিলের বিরোধিতা করেছিলাম। এই বিলটিও শীঘ্রই বাতিল হবে।’
সোমবারই লোকসভায় পাশ হয়েছে ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণের প্রস্তাব-সহ নির্বাচনী আইন সংস্কার বিল। মঙ্গলবার এই বিল নিয়ে রাজ্যসভায় আলোচনা ছিল। বিরোধীদের দাবি, এই বিল আইনে পরিণত হলে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হবে। অন্য দিকে, সরকার পক্ষের দাবি, এই বিল পাশ হলে নির্বাচনে ভুয়ো ভোটার সহজেই ধরা সম্ভব হবে।
গত বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে সংসদে হইহট্টগোল করার জন্য তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ দোলা সেন ও শান্তা ছেত্রী-সহ মোট ১২ জন সাংসদকে শীতকালীন অধিবেশনে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন— শিবসেনার প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী ও অনিল দেসাই, সিপিএমের এলামারাম করিম, কংগ্রেসের ফুলোদেবী নেতাম, ছায়া বর্মা, আর বোরা, রাজামণি পটেল, সৈয়দ নাসির হুসেন, অখিলেশ প্রসাদ সিংহ।