প্রতীকী ছবি।
লোকসভায় দিল্লির হিংসা নিয়ে অমিত শাহের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। আজ রাজ্যসভায় সরব হলেন দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। ২০০২-এর গুজরাত হিংসার সঙ্গে দিল্লির তুলনা করে ডেরেক বলেন, ২০০২ ও ২০২০ কয়েকটি সংখ্যার এদিক ওদিক। ‘‘একই ব্যক্তি দুইয়ের পিছনে। একই রকম নিরপরাধ মানুষের রক্ত, একই আতঙ্ক, একই ভাবে চাপা দেওয়ার চেষ্টা। মডেল একই।’’ শাহ তখন ডেরেকের পাশেই বসে।
জবাবি বক্তৃতায় ডেরেক, কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মাদের নাম করেই অমিত বলেন, তিনি সংসদে তাঁর ঘরে বিরোধী নেতাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। সিএএ যে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, সেটাই তিনি বোঝাবেন। আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে ডেরেক পরে বলেন, ‘‘আমরা আপনার অফিসে আমন্ত্রণ চাই না।’’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লির হিংসার ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত গণহত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। ডেরেক ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা করে বলেন, গ্যাস চেম্বারও এক দিনে তৈরি হয়নি। তার আগে ঘৃণা ছড়ানো হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, উপর থেকে অনুমোদন ছাড়াই এখানেও এত ঘৃণা ছড়ানো গেল।’’ বাংলায় ঘৃণা ছড়ালে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় বলেও ডেরেকের দাবি। এর পর বলতে উঠে বিজেপির স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘১৩ ডিসেম্বর প্রথম বিক্ষোভ দেখানো হয় কলকাতায়। পরের দিন বিষয়টি ছড়িয়ে যায় মুর্শিদাবাদে। ঘৃণা ছড়ানো শুরু হয়েছিল বাংলা থেকেই।’’