প্রতীকী ছবি
দেশ জুড়ে সংক্রমণ কিছুটা কমেছে রবিবার। যদিও কেরলে এ দিনও অব্যাহত করোনার দাপট। সে রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত ১৯,৬৫৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৫২ জনের। এ দিকে চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। ১১টি রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা তড়তড়িয়ে বাড়ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জ্বরের ‘হেল্পলাইন’ চালু এবং ‘টেস্ট কিটের’ জোগান বাড়ানোর পাশাপাশি রাজ্যগুলিকে একাধিক নির্দেশ পাঠিয়েছে কেন্দ্র।
‘সেরোটাইপ-২’— ডেঙ্গির এই স্ট্রেনেই আক্রান্ত হচ্ছেন সবচেয়ে বেশি মানুষ। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানাচ্ছে, এতে আক্রান্তদের মধ্যে জটিলতা বাড়ার ঘটনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দ্রুত পরীক্ষার মাত্রা বাড়ানোই একমাত্র উপায় বলে মনে করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পাশাপাশি ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের উপরেও জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে। প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুত রাখার কথাও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। ডেঙ্গির এই স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাত, কর্নাটক, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, রাজস্থান, তামিলনাড়ু এবং তেলঙ্গনায়।
অন্য দিকে, আগের চেয়ে করোনা সংক্রমণের গতি কমলেও স্বাস্থ্য দফতরের চিন্তা বাড়াচ্ছে আসন্ন উৎসবের মরসুম। পজ়িটিভ রোগীর হার বেশি এমন ১৫টি রাজ্যকে এখন থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছেন স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। পাশাপাশি উৎসবের সময়ে সংক্রমণ বৃদ্ধির ইঙ্গিত মিললে তা যেন তৎক্ষণাৎ দমন করা যায় তার জন্যেও তৈরি থাকতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। এর জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং পরিষেবার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে তাদের। শপিং মল, মন্দির এবং বাজারগুলিতে করোনার নিয়মবিধি কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
আগের চেয়ে পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হওয়ায় প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর বিদেশি পর্যটকদের জন্য দরজা খুলে দেওয়ার কথা পর্যালোচনা করছে ভারত। পর্যটন, উড়ান এবং হোটেল শিল্পের উন্নতির লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল। প্রথম পাঁচ লক্ষ পর্যটককে বিনামূল্যে ভিসা দেওয়া হতে পারে বলে খবর।