—প্রতীকী চিত্র।
করোনার ডেল্টা প্রজাতিকে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বলে জানাল ভারতীয় রোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিডিসি) এবং সিএসআইআর-ইনস্টিটিউট অব জেনোমিকস অ্যান্ড ইন্টেগ্রেটিভ বায়োলজি (আইজিআইবি)। তাদের দাবি, ব্রিটেনে মাথাচাড়া দেওয়া আলফা প্রজাতির চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি সংক্রামক এই ডেল্টা প্রজাতির করোনাভাইরাস। এই ডেল্টা প্রজাতির করোনাভাইরাস টিকার কার্যকারিতাও কমিয়ে দেয় বলে দাবি ওই দুই সংস্থার গবেষকদের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) করোনার বি.১.৬১৭.২ প্রজাতির নাম দিয়েছে ‘ডেল্টা’। ভারতীয় প্রজাতি বা ‘ডাব্ল মিউট্যান্ট’ প্রজাতি নামে যা আগে প্রচলিত ছিল, সেই প্রজাতির এমন নামকরণ হয়েছে বিভ্রান্তি এড়াতে। গবেষকদের দাবি, দিল্লিতে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের নেপথ্যে ছিল এই ডেল্টা প্রজাতিই। এপ্রিল মাসে দিল্লিতে যত জন সংক্রমিত হয়েছিলেন,তার মধ্যে ৬০ শতাংশের শরীরেই করোনার এই ডেল্টা প্রজাতির ভাইরাস প্রবেশ করেছিল।
এ বছর এপ্রিলের আগে দিল্লিতে করোনার প্রকোপে যে অতিমারি দেখা দিয়েছিল, সেই সময়কার নমুনার সঙ্গে এপ্রিলের নমুনা পরীক্ষা করে দেখেই তাঁরা এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন বলে দাবি গবেষকদের। তাঁদের দাবি, করোনাকে রুখতে রোগীদের শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়া প্রয়োজন, করোনার ডেল্টা প্রজাতি তাতেও বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এর ফলে রোগীর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই থাকে না।
এনসিডিসি এবং আইজিআইবি-র গবেষকরা তাঁদের রিপোর্ট এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করেননি যদিও। তবে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে নিজেদের গবেষণাপত্রের কথা সামনে এনেছেন তাঁরা। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয় MedRxiv নামের যে ওয়েবসাইটে, সেখানেই রিপোর্টটি আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশিত হওয়ার কথা।