পচা ডিম, নালার জল কিংবা ক্ষতিকর রং ভরে বেলুন ছোড়ার মতো ঘটনা দিল্লিতে ছিলই। এ বারের হোলিতে আরও অবনতি হল পরিস্থিতির। বেলুনে বীর্য ভরে ছোড়ার অভিযোগে ছেয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। আজ পুলিশের কাছে জবাব তলব করল দিল্লি মহিলা কমিশন।
এ পর্যন্ত সর্বশেষ হামলার শিকার দিল্লির জেসাস অ্যান্ড মেরি কলেজের ছাত্রীটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে লিখেছেন, ‘‘শুনেছিলাম, মেয়েদের লক্ষ করে বীর্য ছোড়া হচ্ছে। আজ আমাকেই ছোড়া হয়েছে।’’ গত কালও ফেসবুকে এক ছাত্রী লিখেছিলেন, তাঁকেও ‘চটচটে’ কোনও জিনিস বেলুনে ভরে ছোড়া হয়েছিল। একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ও পুলিশি অব্যবস্থার অভিযোগে গত কাল দিল্লি পুলিশের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী-শিক্ষকরা। তাঁদের বক্তব্য, হোলির অজুহাতে যে কেউ মেয়েদের সম্ভ্রমহানি করতে পারে না।
প্রথম ঘটনাটি দিন কয়েক আগের। লেডি শ্রীরাম কলেজের এক ছাত্রী ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন, অমর কলোনিতে তাঁকে লক্ষ করে বীর্য ভর্তি বেলুন ছোড়া হয়েছিল। এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। আজ দিল্লি মহিলা কমিশন ঘটনার জবাব তলব করেছে অমর কলোনি থানার কাছে। এ ধরনের ঘটনা রুখতে পুলিশ কমিশনার অমূল্য পট্টনায়ককে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিবাল। চিঠি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘দ্রুত যথেষ্ট পুলিশ নিয়োগ করা হোক রাস্তায়। হোলিতে মেয়েদের উপর হেনস্থা রুখতে আলাদা করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’’ এ দিন কমিশনের পক্ষ থেকে মোবাইল হেল্পলাইন ভ্যান রাখা হয়েছিল দিল্লির রাস্তাঘাটে। দিনভর চালু ছিল মেয়েদের জন্য আপৎকালীন নম্বর ১৮১।