বিরাট কোহলী। —ফাইল চিত্র।
আইপিএল-এ ‘চেন্নাই সুপার কিংস’ হেরে যাওয়ায় গত বছর ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছিল দলের অধিনায়ক এম এস ধোনির মেয়ে জিভাকে। এ বার সেই একই হুমকির শিকার বিরাট কোহালির মেয়ে ভামিকা। যার বয়স সাকুল্যে ৯ মাস। এই ঘটনায় আজ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করল দিল্লির মহিলা কমিশন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই হুমকির পরে দিল্লি পুলিশ কী পদক্ষেপ করেছে তা একটি নোটিস পাঠিয়ে জানতে চাইলেন মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল। এক টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘ভারতীয় দল অসংখ্যবার আমাদের গর্বিত করেছে। তাদের হারে এই সংকীর্ণতা কেন? অত্যন্ত লজ্জাজনক।’’ অভিযুক্তের পরিচয়, তার বিরুদ্ধে এফআইআর-এর কপি এবং পুলিশি পদক্ষেপের বিষয়ে তথ্য চেয়েছে কমিশন। নোটিসে স্বাতী মালিওয়াল বলেছেন, ‘‘যদি এখনও কেউ গ্রেফতার না হয়ে থাকে তবে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার জন্য দিল্লি পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানাক।’’ ৪ নভেম্বরের মধ্যে পুলিশকে এই তথ্য দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।
দুবাইয়ে টি২০ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ভারতের হারের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণের মুখে পড়ছিলেন বিরাট। বাদ পড়েনি তাঁর ৯ মাসের শিশুকন্যা ভামিকাও। ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের শিকার হন বিরাটের সতীর্থ মহম্মদ শামি। যার বিরোধিতা করে আক্রমণকারীদের ‘মেরুদণ্ডহীন’ বলে প্রতিবাদ করেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। এক টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘কোনও মানুষকে তাঁর ধর্ম তুলে আক্রমণ করা সবচেয়ে জঘন্য কাজ। আমরা শামির পাশে রয়েছি। আক্রমণকারীরা চাইলে আরও শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। তাতে দলে আমাদের ভ্রাতৃত্ব, বন্ধুত্ব কোনটাই নষ্ট হবে না।’’ এর পরেই ‘@ক্রিকক্রেজিগার্ল’ নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে কোহালির মেয়েকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে টুইট করা হয়। প্রথমে মনে করা হয়েছিল অ্যাকাউন্টটি পাকিস্তানের। পরে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে অতীতে করা টুইট ব্যাখ্যা করে দেখা যায় সেটি তেলুগুভাষী অতিদক্ষিণপন্থী কোনও ব্যক্তির।
বিরাটের সমর্থনে আজ মুখ খোলেন রাহুল গাঁধী। এক টুইটে কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘ওই মানুষগুলো হিংসায় পরিপূর্ণ কারণ ওদের কেউ ভালবাসে না। ওদের উপেক্ষা করুন। দলকে রক্ষা করুন।
এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ত্রী অনুষ্কা শর্মাকে আক্রমণের প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন কোহালি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘যারা নারীদের সম্মান দিতে জানে না তারা নিজেদের কী ভাবে শিক্ষিত মানুষ হিসেবে দাবি করেন।’’ এ বার এখনও মুখ খোলেননি তিনি।
সংবাদ সংস্থা