মহাশ্বেতা দেবী ফাইল চিত্র
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি পাঠ্যক্রম থেকে আচমকা বাদ পড়ল মহাশ্বেতা দেবীর ছোটগল্প ‘দ্রৌপদী’। ১৯৯৯ সাল থেকে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত ছিল গল্পটি। ‘দ্রৌপদী’র বদলে মহাশ্বেতার অন্য কোনও গল্পও নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বাদ পড়েছেন দু’জন দলিত লেখকও। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে এ নিয়ে প্রতিবাদ জানান শিক্ষকদের একাংশ।
আজকের বৈঠকে কাউন্সিলের ১৫ জন সদস্য ওভারসাইট কমিটির বিরুদ্ধে তাঁদের প্রতিবাদপত্র জমা দেন। তাঁদের অভিযোগ এলওসিএফ (লার্নিং আউটকামস বেসড কারিকুলাম ফ্রেমওয়র্ক)-এর পঞ্চম সেমেস্টারের ইংরেজি পাঠ্যক্রমে ‘বর্বর আক্রমণ’ চালানো হয়েছে। প্রথমে বাদ দেওয়া হয়েছে দুই দলিত লেখক বামা আর সুকর্তারিণীর লেখা। তার বদলে আনা হয়েছে ‘উচ্চবর্ণীয়’ রমাবাইকে। তার পরেই ‘‘কমিটি আচমকা কোনও কারণ না দেখিয়ে ইংরেজি বিভাগকে বলেছে, মহাশ্বেতার দ্রৌপদী গল্পটি বাদ দিতে। শুধু তাই নয়, জ্ঞানপীঠ, পদ্মবিভূষণ, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে সম্মানিত মহাশ্বেতার অন্য কোনও লেখাও তারা গ্রহণ করতে রাজি হয়নি।’’ এ বাদে ডিসিপ্লিন স্পেসিফিক ইলেক্টিভ পেপারে সমকামিতা নিয়ে একটি পেপার ছিল— ইন্টারোগেটিং ক্যুইয়ারনেস। তা থেকেও একাধিক অংশ বাদ গিয়েছে বলে অভিযোগ। ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিদ্যার মতো বিষয়েও সিলেবাস কমিটির সঙ্গে কথা না বলেই পাঠ্যক্রম বদল করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।