Coronavirus

করোনায় কী করণীয়, রাজ্যকে বার্তা দিল্লির

পূর্ব ভারতের বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন নরেন্দ্র মোদী সরকার। সম্প্রতি বিহারে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বিশেষজ্ঞদের দল পাঠানো হয়। পার্শ্ববর্তী পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতিও যে বিশেষ ভাল নয়, আজ তা স্বীকার করে নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২০ ০৪:৪৮
Share:

প্রতীকী ছবি

মৃত্যুহার জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি। সংক্রমণের হারও ছাপিয়ে গিয়েছে জাতীয় গড়কে। করোনা পরীক্ষার প্রশ্নেও জাতীয় গড়ের থেকে পিছিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ফলে সংক্রমণ বাড়ছে দ্রুত। বাড়াতে হচ্ছে লকডাউনের দিনের সংখ্যা। উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক আজ জানিয়েছে, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে কী করতে হবে, সে বিষয়ে সবিস্তার নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে। স্পষ্ট ভাবে বলে দেওয়া হয়েছে, কী ভাবে ধাপে ধাপে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে রাজ্যে।

Advertisement

পূর্ব ভারতের বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন নরেন্দ্র মোদী সরকার। সম্প্রতি বিহারে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বিশেষজ্ঞদের দল পাঠানো হয়। পার্শ্ববর্তী পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতিও যে বিশেষ ভাল নয়, আজ তা স্বীকার করে নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আজ মন্ত্রকের সাপ্তাহিক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ জানান, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে ওই রাজ্যের আমলাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কোভিড মোকাবিলার প্রশ্নে সবিস্তার লিখিত নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রের একেবারে শীর্ষ পর্যায় থেকে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। আশা করছি কেন্দ্র যে সাহায্য করছে, তার ভিত্তিতে আগামী দিনে রাজ্যে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা কমবে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।’’

স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এই মুহূর্তে গোটা দেশে সংক্রমণের হার যেখানে ১১ শতাংশের কাছাকাছি, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ১৪ শতাংশ। গোটা দেশে যেখানে প্রতি লক্ষে ৩২ জনের পরীক্ষা হচ্ছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে হচ্ছে মাত্র ১৭ জনের। কার্যত অর্ধেক। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বক্তব্য, ওই সংখ্যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেওয়া সংখ্যার থেকে বেশি হলেও তুলনামূলক ভাবে তা অন্য রাজ্যের থেকে কম। বিশেষ করে কলকাতায় কম সংখ্যক পরীক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। দেশে যেখানে মৃত্যুহার ২.২ শতাশের মতো, তখন পশ্চিমবঙ্গে তা ২.৫-এর কাছাকাছি। স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণের বক্তব্য, ‘‘আক্রান্তদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের তিন দিনের মধ্যে চিহ্নিত করা গেলেই সুস্থ হওয়ার হার বেড়ে যায়। দিল্লিতে তা-ই হয়েছে।’’

Advertisement

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement