পুলিশের জলকামান ব্যবহারের দৃশ্য। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
দিল্লির জলসঙ্কট সমাধানের দাবি জানিয়ে শনিবার ওখলায় জল বোর্ডের সদর দফতরের বাইরে বিক্ষোভ সমাবেশে বসেছিলেন বিজেপি কর্মীরা। শেষে জলকামান ব্যবহার করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করল দিল্লি পুলিশ! জলসঙ্কটের মধ্যে অতিরিক্ত জল খরচ করে বিক্ষুব্ধদের দমন করার পুলিশি সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। হাসির রোল উঠেছে সমাজমাধ্যমে। দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আওতাধীন। অমিত শাহের পুলিশের হাতে বিজেপি কর্মীরা পর্যদুস্ত হওয়াতেও হইচই পড়েছে।
তীব্র গরমের কারণে দিল্লির অনেক জায়গাতেই পানীয় জলের অভাব দেখা দিয়েছে। জল নিয়ে হাহাকারের ছবিও দেখা গিয়েছে রাজধানীর নানা জায়গায়। চাণক্যপুরীর সঞ্জয় ক্যাম্প এবং গীতা কলোনি এলাকায় জলসঙ্কট দেখা দিয়েছে। এক বালতি জল ভরতে রোদের মধ্যে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে মানুষকে।
সেই আবহেই শনিবার জল বোর্ডের বাইরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি নেতা রমেশ বিদুরী। কিন্তু বিজেপি কর্মীরা পৌঁছতেই জল বোর্ডের সামনের এলাকায় ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড টপকানোর চেষ্টা করলে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ছোড়ে পুলিশ। প্রচুর জল নষ্ট হয়। জলময় হয়ে যায় জল বোর্ডের সামনের রাস্তা। আর তা নিয়েই এ বার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে পুলিশকে। প্রশ্ন উঠছে, কী ভাবে জলসঙ্কটের মধ্যে বিক্ষোভকারীদের আটকাতে পুলিশ এত জল নষ্ট করল।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমেও হইচই পড়ে গিয়েছে। দিল্লি পুলিশের নিন্দায় সরব হয়েছেন অনেকে। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘দিল্লি জলের সমস্যায় ভুগছে। অথচ পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর জলকামান ব্যবহার করছে। এমন হাস্যকর ঘটনার কথা কল্পনা করা যায় না।’’
উল্লেখ্য, জলসঙ্কট মোকাবিলায় প্রতিবেশী রাজ্যের থেকে বাড়তি জল চেয়েছিল দিল্লি সরকার। দিল্লির জলসঙ্কট মেটানোর দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও লেখেন দিল্লির জলমন্ত্রী অতিশী মারলেনা। সেই চিঠিতে তিনি জানিয়েছিলেন, ২১ জুনের মধ্যে দিল্লির জলসঙ্কট না মেটে তবে তিনি অনির্দিষ্ট কালের জন্য অনশনে বসবেন। সেই মতো শুক্রবার দক্ষিণ দিল্লির ভোগালে ‘জল সত্যাগ্রহ’ কর্মসূচি শুরু করেছেন অতিশী।