কৃষক সমাবেশে যোগেন্দ্র যাদব, প্রশান্ত ভূষণ এবং মেধা পাটকর। ছবি: পিটিআই।
প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে দিল্লিতে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে কৃষক নেতাদের পাশাপাশি আন্দোলন সমর্থক বিশিষ্টদেরও নিশানা করল দিল্লি পুলিশ।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, দিল্লিতে অশান্তির ঘটনার উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে বুধবার বিকেল পর্যন্ত ৩৭ জনের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন সমাজকর্মী মেধা পাটকর এবং আম আদমি পার্টির প্রাক্তন নেতা তথা স্বরাজ ইন্ডিয়া জনসচেতনতা অভিযানের সংগঠক যোগেন্দ্র যাদব। পাশাপাশি, কৃষক নেতা বুটা সিংহ এবং রাকেশ টিকায়েতেরও নাম রয়েছে ওই তালিকায়।
দায়ের করা একটি এফআইআর-এ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশের অভিযোগ, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে ট্র্যাক্টর মিছিলের যে গতিপথ চিহ্নিত হয়েছিল, তা ভাঙার জন্য কৃষকদের প্ররোচনা দিয়েছিলেন মেধা এবং যোগেন্দ্র। সেখান থেকেই উত্তেজনার সূত্রপাত ঘটে।
লালকেল্লার ভিতরে ঢুকে টিকিট কাউন্টারে ভাঙচুর, জাতীয় পতাকার নীচে ‘নিশান সাহিব’ ওড়ানো এবং পুলিশকর্মীদের উপর হামলার অভিযোগে বুধবার বিকেল পর্যন্ত ২০০ জনেরও বেশি আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। লালকেল্লার ভিতরের এবং ট্র্যাক্টর মিছিলের পথের ধারের সিসিটিভি-ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হাঙ্গামাকারীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
দিল্লি পুলিশের অভিযোগ, রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান পণ্ড করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা মাফিক ট্র্যাক্টর মিছিলের গতিপথ বদল করা হয়েছিল। হামলা চালানো হয়েছিল। মঙ্গলবার লালকেল্লার পাশাপাশি মকবরা চক, গাজিপুর, এ-পয়েন্ট আইটিও, সীমাপুরী, নঙ্গলোই টি-পয়েন্ট এবং টিকরি সীমানায় হামলার ঘটনায় প্রায় ৩০০ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে সরকারি সূত্রের খবর।
মঙ্গলবারের ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে দু’টি কৃষক সংগঠন— রাষ্ট্রীয় কিসান মজদুর সংগঠন ও ভারতীয় কিসান ইউনিয়ান (ভানু)-এর তরফ থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। অন্য দিকে, আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ, সংযুক্ত কৃষক মোর্চার অভিযোগ, কৃষি বিল বিরোধী আন্দোলনকে বদনাম করার উদ্দেশ্যে চক্রান্ত করেছে প্রশাসন ও শাসক শিবির।