সাকেত আদালতে শরজিল। এপি
‘দেশবিরোধী’ মন্তব্য করার অভিযোগে ধৃত শরজিল ইমামের সঙ্গে কট্টর ইসলামি সংগঠনগুলির যোগসূত্র প্রমাণ করতে মরিয়া দিল্লি পুলিশ। গত ২৮ জানুয়ারি বিহারের জহানাবাদ থেকে গ্রেফতারের পরে আদালতের নির্দেশে পাঁচ দিনের জন্য তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে আইআইটি (বম্বে) থেকে পাশ করার পরে বিদেশে পড়াশোনা, কিছু দিন শিক্ষকতা এবং তার পরে আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপর পিএইচডি করার জন্য জেএনইউ-তে ভর্তি হয়েছিলেন শরজিল। তিনি ইসলামি মৌলবাদী ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে দাবি দিল্লি পুলিশের। সূত্রের দাবি, জেরায় শরজিল জানিয়েছেন, ভারতে মুসলিমরা বঞ্চনার শিকার। তাই মুসলিমদের অধিকারের প্রশ্নে তিনি বিভিন্ন মঞ্চে সরব হচ্ছিলেন। শরজিলের সঙ্গে কেরলের বিতর্কিত মুসলিম সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া’ এবং ইসলামিক ইউথ ফেডারেশনের যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খোঁজা হচ্ছে তাঁর সঙ্গীদেরও।
সম্প্রতি শরজিলের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে দেশবিরোধী বক্তব্য রাখার অভিযোগ ওঠে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, অসম মণিপুর-সহ একাধিক রাজ্যের পুলিশ। কয়েকটি মহল দাবি করে, দিল্লি শাহিন বাগে সিএএ-এনআরসি বিরোধী মঞ্চে শরজিল দেশবিরোধী কথা বলেছে। ভাইরাল ভিডিয়ো-র বক্তব্য শরজিলের কি না তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। যদিও দিল্লি পুলিশের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শরজিল ভিডিয়ো-র সত্যতা স্বীকার করেছেন। তাদের দাবি, নিজের গ্রেফতারি নিয়ে কোনও ভাবান্তর নেই ওই যুবকের। অসম সরকারও তাঁকে হাতে পেতে চাইছে।
এর মধ্যেই আজ শরজিল প্রশ্নে সুর চড়িয়েছে শিবসেনা। বিজেপির সদ্য প্রাক্তন শরিক আজ তাদের মুখপত্রে বলেছে, ‘সমগ্র মুসলমান সমাজের মাথা কেটে দিয়েছে শরজিলের বক্তব্য। ওর হাত কেটে তা চিকেন নেক করিডরে ঝুলিয়ে দেওয়া হোক’। শিবসেনা মনে করে, শরজিল কাণ্ডে আখেরে দিল্লি নির্বাচনের আগে ফায়দা হবে বিজেপির। পাশাপাশি সরকারকে সতর্ক করে শিবসেনা বলেছে, সম্প্রতি দেশ জুড়ে হিন্দু ও মুসলিম সমাজের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ানোর নিরন্তর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। চেষ্টা চলছে দেশে অরাজকতা এবং ইরাক, আফগানিস্তানের মতো গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করার।