গুলি চলেছে, মেনে নিচ্ছেন দিল্লির পুলিশ কর্তারাও

পুলিশ কর্তাদের দাবি, বিক্ষোভকারীদের ভয় দেখাতে গুলি শূন্যে ছোড়া হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:১৫
Share:

ফাইল চিত্র।

প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করে দিল্লি পুলিশ বলেছিল, ডিসেম্বরের ১৫ তারিখে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ আটকাতে একটি বুলেটও তারা ছোড়েনি। কিন্তু সে দিন সন্ধ্যায় দক্ষিণ দিল্লির অভিজাত এলাকার মথুরা রোডের একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল সাইটে। তাতে দেখা যাচ্ছে, এক পুলিশ অফিসার দিব্যি নিজের সার্ভিস রিভলবার বের করে গুলি চালাচ্ছেন। এর পরেই সুর বদলে গিয়েছে পুলিশ কর্তাদের। একান্তে তাঁরা বলছেন, যে ভাবে ঘিরে ধরে পাথর ছোড়া হয়েছে তাঁদের দিকে, গুলি না-ছুড়ে উপায় ছিল না। তবে পুলিশ কর্তাদের দাবি, বিক্ষোভকারীদের ভয় দেখাতে গুলি শূন্যে ছোড়া হয়েছে।

Advertisement

সংশোধিত নাগরিক বিল (সিএবি)-বিরোধী বিক্ষোভ মোকাবিলায় গুলি চালায়নি বলে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দাবিও এর আগে ভেস্তে গিয়েছিল মোবাইলে তোলা ভিডিয়ো প্রকাশে। রাজ্য সরকার তার পরে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে অভিযোগ ধামাচাপা দিয়েছিল। সাফাই গাইতে পুলিশ দাবি করে, বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকেই তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়, যাতে ৫৭ জন পুলিশ জখম হন। পাল্টা কিছু ছবিও প্রকাশ করে পুলিশ। সম্প্রতি একটি টেলি-সংবাদ চ্যানেলের তরফে খোঁজ খবর করে এক জনের বেশি গুলিবিদ্ধ পুলিশের খোঁজ অবশ্য মেলেনি। এর মধ্যেই সামনে এল দিল্লি পুলিশের এই ভিডিয়ো।

ডিসেম্বরের ১৫ তারিখে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে ঢুকে সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভকারীদের মারধর করার পরে পড়ুয়ারা রাস্তায় নেমে আসেন। সাধারণ
মানুষও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেয়। সেই বিক্ষোভ মোকাবিলায় পুলিশ কত ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে, তা দেখাতে বেশ কিছু ভিডিয়ো প্রকাশ করেছিল তারা। ইট-পাথরের জবাবে যে একটি বুলেটও ছোড়া হয়নি, বড়মুখ করে সে দাবিও করে দিল্লি পুলিশ। অথচ সে দিন জখম বেশ কয়েক জনের দেহে বুলেটের চিহ্ন পাওয়া যায়। পুলিশ দাবি করে, জখমের ওই দাগ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফেটে হয়েছে।

Advertisement

এর পরে সে দিন মথুরা রোডের ভিডিয়োটি সামনে আসার পরে দেখা যাচ্ছে, দিল্লি পুলিশ ঠিক কথা বলেনি। তার পরে পুলিশ কর্তারাও সুর পাল্টেছেন। একান্তে তাঁরা বলছেন, কোণঠাসা হয়ে গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। তবে তা যাতে কারও গায়ে না-লাগে, গুলি ছোড়া হয়েছে শূন্যে। থানায় রাখা পুলিশের ডায়েরিতেও সে দিন বাধ্য হয়ে গুলি চালানোর কথা উল্লেখ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ কর্তা।

তা হলে সে দিন কার চাপে বা নির্দেশে দিল্লি পুলিশ গুলি না-ছোঁড়ার দাবি করল, সে প্রশ্ন উঠেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement