গণপিটুনির দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
বা়ড়িতে পরিচারিকার কাজ করতে আসা নাবালিকাকে মারধর করার অভিযোগে দিল্লির এক দম্পতিকে গণপিটুনি দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভাইরাল হয়েছে গণপিটুনির সেই ভিডিয়ো। নাবালিকা পরিচারিকার মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে। দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।
দিল্লির দ্বারকায় থাকেন দম্পতি। স্ত্রী বিমান চালান, স্বামীও যুক্ত বিমান পরিবহণের সঙ্গে। তাঁদের বাড়িতেই সম্প্রতি পরিচারিকার কাজে যোগ দেয় ১০ বছরের এক নাবালিকা। কিছু দিন পর নাবালিকার বাড়ি থেকে এক আত্মীয়কে তাকে দেখতে আসেন। কিন্তু তিনি খেয়াল করেন নাবালিকার গায়ে চাকাচাকা দাগ। ওই মহিলার দাবি, বার বার প্রশ্ন করার পর নাবালিকা কাঁদতে কাঁদতে জানায় তাকে নিয়মিত মারধর করেন দম্পতি। মহিলা এর পরেই পুলিশে খবর দেন। খবর যায় নাবালিকার পাড়াতেও।
পুলিশ আসার আগেই সকাল ৯টা নাগাদ অনেক লোকজন চলে আসেন দম্পতির বাড়ির সামনে। নীচে ডেকে পাঠানো হয় দম্পতিকে। এর পরেই দম্পতিকে বেধড়ক মারধর শুরু হয়। চুলের মুঠি টেনে ধরে মারা হয় পেশায় পাইলট মহিলাকে। মার খান তাঁর স্বামীও। গোটা ঘটনা ক্যামেরাবন্দি হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
এ দিকে পুলিশ নাবালিকাকে নিয়ে গিয়ে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করায়। দেখা যায় তার শরীরে বেশ কয়েকটি ক্ষতচিহ্ন এবং পোড়ার দাগ রয়েছে। দ্বারকার ডিসিপি এম হর্ষবর্ধন বলেন, ‘‘আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি একটি ১০ বছরের নাবালিকাকে গৃহপরিচারিকা হিসাবে রাখা হয়েছিল। মেডিক্যাল পরীক্ষার পরে দেখা গিয়েছে নাবালিকার শরীরে রয়েছে একাধিক ক্ষত এবং পোড়ার দাগ। এ ব্যাপারে মামলা রুজু করা হয়েছে। আমরা স্বামী-স্ত্রীকে আটক করে নিয়ে এসেছি থানায়। তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। নাবালিকার কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’