শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর লিভ ইন সঙ্গী আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে। —ফাইল চিত্র।
হিন্দু রীতি মেনে মৃত্যুর এক বছরের মধ্যে নশ্বর দেহের শেষকৃত্য করা জরুরি। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, ওই সময়ের মধ্যে শেষকাজ সম্পন্ন না হলে আত্মার শান্তি হয় না। নিজের আবেদনপত্রে এ কথা উল্লেখ করে মেয়ের অস্থি এবং দেহাংশ পেতে দিল্লির এক আদালতের দ্বারস্থ হলেন শ্রদ্ধা ওয়ালকরের বাবা বিকাশ মদন।
১৮ মে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর লিভ ইন সঙ্গী আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, দক্ষিণ দিল্লির মেহরৌলিতে তাঁদের ভাড়াটে ফ্ল্যাটে শ্রদ্ধাকে খুনের পর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করেন আফতাব। এর পর সেই টুকরোগুলিতে পচন রুখতে সেগুলি রাসায়নিক দিয়ে ধুয়েমুছে প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে ফ্রিজ়ে ভরে রাখেন। রাতের অন্ধকারে সেই টুকরোগুলি মেহরৌলির জঙ্গলে ফেলতে যেতেন বলেও অভিযোগ।
শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করলেও এই মামলা আদালতে বিচারাধীন। শনিবার সংসাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শ্রদ্ধার শেষকৃত্যের জন্য তাঁর দেহাংশ পেতে দিল্লির একটি দায়রা আদালতে বিকাশের হয়ে আবেদন করেছেন তাঁর আইনজীবী সীমা কুশওয়হা। তাতে বিকাশের আবেদন, ‘‘এ দেশে চিরাচরিত বিশ্বাস যে মৃত্যুর পর দেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন না হলে মৃতের আত্মা শান্তি লাভ করে না। এ ছাড়া (মেয়ের) শেষকাজের সঙ্গে পরিবারের অনুভূতিও জড়িত। সুতরাং মৃতের পরিবারের সদস্যদের শেষকৃত্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়।’’ ইতিমধ্যেই এই খুনের দশ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। আবেদনপত্রে বিকাশের আইনজীবী জানিয়েছেন, হিন্দু পঞ্জিকা মতে শ্রদ্ধার মৃত্যুর এক বছরের মধ্যে আগামী ৮ মে তাঁর শেষকৃত্য করা উচিত।
জেলা আদালতের বিচারক মনীষা খুরানা কক্করের এজলাসে এই আবেদনের উত্তর আগামী ২৯ এপ্রিল পাওয়া যাবে বলে দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর।