প্রেমিকাকে খুন করে সে দিনই অন্য মহিলাকে বিয়ে করেছেন সাহিল গহলৌত। ছবি: সংগৃহীত।
প্রেমিকাকে খুন করে দেহ লুকিয়ে ফেলেছিলেন। তার পর ওই দিনই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন দিল্লির ধাবা মালিক সাহিল গহলৌত। ২৪ বছরের যুবককে দিল্লির কৈর গ্রাম থেকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার নৃশংস হত্যার ঘটনায় শিরোনামে উঠে এসেছে দিল্লি। শ্রদ্ধার মতো প্রেমিকা নিক্কি যাদবের দেহও ফ্রিজে লুকিয়েছিলেন অভিযুক্ত।
পুলিশ জানিয়েছে, নিক্কি হত্যার ঘটনায় কোনও নিখোঁজ ডায়েরি তারা পায়নি। গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে খবর যায়, এক যুবক দিল্লির নজফগড়ে প্রেমিকাকে খুন করেছেন। আবার সে দিনই বিয়ে করেছেন অন্য মহিলাকে। এই খবর পেয়ে তদন্ত শুরু করে দিল্লির রাজৌরি গার্ডেন পুলিশের অপরাধ দমন শাখা।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি খুনের বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। তারা তৎক্ষণাৎ খোঁজ করে, কোথাও কোনও থানায়, কোনও তরুণীর নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে কি না। কিন্তু তেমন কিছু মেলেনি। অভিযুক্ত সাহিলকে খুঁজতে খুঁজতে এর পর পুলিশ পৌঁছে যায় নজফগড়ের মিত্রাওঁ গ্রামে। সেখানেই বাড়ি সাহিলের। তন্ন তন্ন করে খুঁজেও অভিযুক্তের খোঁজ পায়নি পুলিশ।
সাহিলের মোবাইল ফোনটিও বন্ধ ছিল। চেষ্টা করেও তাই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। জানা যায়নি সাহিল কোথায় রয়েছেন। সাহিলের বাড়িতেও খোঁজ করে তারা।
বাড়িতে না পেয়ে সাহিলের খোঁজে মিত্রাওঁ এবং আশপাশের এলাকায় চিরুনিতল্লাশি চালায় পুলিশের একটি দল। অবশেষে মঙ্গলবার কৈর গ্রামে রাস্তার একটি ক্রসিং থেকে তিনি ধরা পড়েন।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে তদন্তকারীদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন সাহিল। কিন্তু কিছু ক্ষণ জেরার পর স্বীকার করে নেন, নিক্কিকে তিনিই খুন করেছেন। বাবা হরিদাস নগর থানা এলাকায় তাঁর যে ধাবা রয়েছে, সেখানে ফ্রিজের ভিতর নিক্কির দেহ লুকিয়ে রাখা রয়েছে বলেও পুলিশকে জানান অভিযুক্ত। সাহিল আরও জানান, ৯ এবং ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যবর্তী রাতে নিক্কিকে খুন করেছেন তিনি। সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণেই এই খুন। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।