প্রেমিকাকে খুন করে দেহ ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছিলেন দিল্লির ধাবা মালিক সাহিল গহলৌত। ছবি: সংগৃহীত।
দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই প্রকাশ্যে আরও এক হত্যার ঘটনা। প্রেমিকাকে খুন করে দেহ ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছিলেন দিল্লির ধাবা মালিক সাহিল গহলৌত। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই নিজে বসেছিলেন বিয়ের পিঁড়িতে। খুনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দাবি, তদন্তকারীদের জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
মৃত তরুণীর নাম নিক্কি যাদব। পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন সাহিল। কিন্তু সম্প্রতি অন্য এক মহিলার সঙ্গে তাঁর বিয়ে ঠিক হয়। অভিযোগ, এ কথা প্রেমিকার কাছে সাহিল গোপন করেছিলেন। তা জানতে পারার পরেই এই খুন।
নিক্কিকে গাড়ির মধ্যে শ্বাসরোধ করে খুন করেন সাহিল। মোবাইলের ডেটা কেবল দিয়ে প্রেমিকাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেন তিনি। নিক্কির মৃতদেহ গাড়িতে করেই নিয়ে আসেন নিজের ধাবায়। সেখানে একটি ফ্রিজের মধ্যে মৃতদেহ লুকিয়ে সোজা চলে যান নিজের বাড়িতে বিয়ের আসরে।
ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখ সাহিলের বিয়ের দিন স্থির হয়েছিল। তার আগে ৯ তারিখ নিক্কিকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন তিনি। দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় গাড়িতে করেই তাঁরা ঘুরে বেড়ান। সাহিলের বিয়ে নিয়ে এখানেই শুরু হয় বচসা। যার জেরে নিক্কিকে খুন করেন সাহিল। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ গাড়িতে নিয়ে ৪০ কিলোমিটার ঘুরেছিলেন তিনি। তার পর ধাবায় এসে দেহ লুকিয়ে ফেলেন। ওই দিন রাতে বিয়ের আসরে পৌঁছে যান তিনি। পরের দিন তাঁর বিয়ে হয়।
পুলিশের দাবি, ঠান্ডা মাথায় প্রেমিকাকে খুন করে নিজে বিয়ে করেছেন সাহিল। কাউকে কুকীর্তির কথা জানতেও দেননি। দেহটি গায়েব করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। কিন্তু তার আগেই তিনি ধরা পড়ে যান। নিক্কির বাবার সঙ্গেও কথা হয়েছিল সাহিলের। তাঁকে সাহিল বলেছিলেন, নিক্কি বন্ধুদের সঙ্গে দেহরাদূন এবং মুসৌরিতে ঘুরতে গিয়েছেন। ফোনটি তাঁর কাছেই ফেলে গিয়েছেন। নিক্কির বাবাকে সাহিল আরও বলেন যে, তিনিও ঘুরতে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠানের কারণে ঘুরতে যাওয়া হয়নি। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এ বিষয়ে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।