—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নাবালক পুত্রের স্কুলের পর তাকে নিয়ে বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে এক যুবকের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি হয়েছিল দিল্লির এক মধ্যবয়সির। সন্ধ্যায় দলবল নিয়ে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে এলোপাথাড়ি অস্ত্রের কোপ মারতে থাকেন ওই ব্যক্তিকে। তাতে গুরুতর জখম হন তিনি। বাধা দিতে গেলে রডের আঘাতে আহত হন ওই ব্যক্তির স্ত্রী। পরে দিল্লির এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় মধ্যবয়সির। এই অভিযোগের ভিত্তিতে চার জনকে আটক করা হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। যদিও মূল অভিযুক্ত পলাতক। অভিযোগ, পুরনো শত্রুতার জেরেই দম্পতির বাড়িতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালান অভিযুক্তেরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির আলি বিহার এলাকার বাসিন্দা অরবিন্দ মণ্ডলের বাড়িতে এক দল যুবক হামলা চালান বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। অরবিন্দের ৪৩ বছরের স্ত্রী রেখা মণ্ডলের মাথায়ও আঘাত লেগেছে। এই অভিযোগে রাজু পাত্র, রবি ওরফে গোল্লু, শম্ভু-সহ ১৭ বছরের এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দিল্লির ডেপুটি কমিশনার (সাউথ-ইস্ট) রাজেশ দেও। রাজু এবং শম্ভু দু’জনেই ২৬ বছর বয়সি। অন্য দিকে, রবির বয়স ১৯। যদি হামলায় মূল অভিযুক্ত মনোজ মণ্ডল এবং বিজয় পাত্র ওরফে পঞ্চু পলাতক। অরবিন্দের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
অরবিন্দের কাকা নেপালচাঁদ মণ্ডল জানিয়েছেন, পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন তাঁর ভাইপো। নেপালের দাবি, অরবিন্দের বুকে এবং হাতে অন্তত ১০-১৫ বার অস্ত্রের কোপ মেরেছেন অভিযুক্তেরা। হামলায় বাধা দিতে গেলে রেখার মাথায় রড দিয়ে আঘাত করেন তাঁরা। নেপাল বলেন, ‘‘শুক্রবার বিকেল ৫টা নাগাদ ছেলেকে নিয়ে বা়ড়ি ফেরার সময় অরবিন্দের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল মনোজের। রাতে দলবল নিয়ে বাড়িতে চড়াও হন মনোজরা। অরবিন্দকে কম করে ১০-১৫ বার কোপ মারা হয়েছে। মারধরে বাধা দিলে ওর স্ত্রীর মাথায় রড মারে ওরা।’’