দিল্লির আইনমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা তোমরের

বিতর্কের মাধে শেষ পর্যন্ত ইস্তফাই দিলেন দিল্লির আইনমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ তোমর। জেল থেকেই ইস্তফাপত্র পাঠালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। মঙ্গলবার সকালে তোমর গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউোতর। আইনমন্ত্রীর গ্রেফতারি নিয়ে সম্মুখসমরে নেমে পড়ে আম আদমি পার্টি এবং বিজেপি। তোমরের ইস্তফার দাবি তোলে কংগ্রেসও। তোমরকে এ দিন আদালতে তোলা হলে তাঁর চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আর এর পরই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৫ ১২:৩৫
Share:

বিতর্কের মাধে শেষ পর্যন্ত ইস্তফাই দিলেন দিল্লির আইনমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ তোমর। জেল থেকেই ইস্তফাপত্র পাঠালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে তোমর গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউোতর। আইনমন্ত্রীর গ্রেফতারি নিয়ে সম্মুখসমরে নেমে পড়ে আম আদমি পার্টি এবং বিজেপি। তোমরের ইস্তফার দাবি তোলে কংগ্রেসও। তোমরকে এ দিন আদালতে তোলা হলে তাঁর চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আর এর পরই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

দিল্লির আইনমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ তোমরের গ্রেফতারি নিয়ে রাজধানীর রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। তোমরের গ্রেফতারির জন্য কেন্দ্রকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন আপ নেতৃত্ব। তবে আপের অভিযোগকে নস্যাত্ করে দিয়েই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার রাজনাথ সিংহ বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কারও গ্রেফতারির বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেয় না।” এ দিকে, তাঁর গ্রেফতারির পরই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তোমর। যদিও এ দিন দুপুরে আদালতে পেশ করা হলে তাঁর চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

Advertisement

এ দিন সকালে তোমরকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে সোমবার রাতেই একটি এফআইআর দায়ের করেছিল তারা। তোমরের বিরুদ্ধে জাল ডিগ্রি ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। কংগ্রেস-বিজেপির পাশাপাশি পুলিশের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ করেছিল দিল্লির বার কাউন্সিল।

আম আদমি পার্টির নেতা সঞ্জয় সিংহের অভিযোগ, বৈধ কোনও নোটিস ছাড়াই তোমরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা ঘটনার জন্য বিজেপিকে দায়ী করে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘দিল্লি পুলিশ এবং নরেন্দ্র মোদীর সরকার কী করছে? দিল্লির আইনমন্ত্রীকে তারা এক জন সাধারণ দুষ্কৃতীর মতো গ্রেফতার করল! এটা চাপের রাজনীতি।’’ প্রশাসনিক পরিকাঠামো অনুযায়ী দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আওতায়। এই ঘটনায় ফের দিল্লি ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধ প্রকাশ্যে এল, যার মুখ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল এবং উপ-রাজ্যপাল নজীব জঙ্গ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement