দিল্লির লালকেল্লা। — ফাইল চিত্র।
দিল্লির লালকেল্লাকে নিজের সম্পত্তি বলে দাবি করে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন সুলতানা বেগম। নিজেকে শেষ মোগল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহের (বাহাদুর শাহ জাফর) প্রপৌত্রের পুত্রবধূ বলে দাবি করেছিলেন তিনি। কিন্তু শনিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিভু বখরু এবং বিচারপতি তুষাররাও গেদেলার ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর ওই আবেদন নাকচ করে দিয়েছে।
ইতিহাস বলছে, পঞ্চম মোগল সম্রাট শাহজাহান নির্মাণ করেছিলেন দিল্লির ওই দুর্গ-প্রাসাদ। তাঁর পছন্দের রং ছিল লাল-সাদা। রাজধানীতে বসবাসের জন্য যে প্রাসাদ নির্মাণ করিয়েছিলেন তিনি, তার মূল উপকরণ ছিল লাল বেলেপাথর। সেই থেকে প্রাসাদের নাম হয় লালকেল্লা। তার পর থেকে ১৮৫৭- সিপাহী বিদ্রোহের ইতি পর্যন্ত বংশানুক্রমে মোগল সম্রাটেরা লালকেল্লায় বসবাস করে এসেছেন। সিপাহী বিদ্রোহ দমনের পরে ব্রিটিশরা শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহকে বন্দি করে এবং তাঁর পুত্রদের হত্যা করে। এর পর রেঙ্গুনে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল বাহাদুর শাহকে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
সেই ইতিহাসের উল্লেখ করে দিল্লি হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চকে সুলতানা জানিয়েছিলেন, ব্রিটিশরা অন্যায় ভাবে পারিবারিক সম্পত্তি থেকে মোগল পরিবারকে বেদখল করেছিল। এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দিল্লি হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ সুলতানার একই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, যে হেতু সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের ৯০০ দিনেরও বেশি সময় পার হয়ে যাওয়ার পরে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানানো হয়েছে, তাই শুনানি সম্ভব নয়।