ছবি: সংগৃহীত।
বিক্ষোভকারীদের উঠিয়ে কালিন্দী কুঞ্জ ও শাহিনবাগের রাস্তা খালি করে দেওয়ার জন্য পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে করা একটি মামলা মঙ্গলবার খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। ‘বৃহত্তর জনস্বার্থ ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি’-র কথা বিবেচনায় রেখে পুলিশকেই করণীয় স্থির করতে বলেছেন দুই বিচারপতি ডি এন পটেল ও সি হরিশঙ্করের বেঞ্চ। নয়ডা থেকে দিল্লি যাতায়াতে আবেদনকারীর মতো অনেককে যাতে ভোগান্তিতে পড়তে না-হয়, পুলিশকে সেটা দেখতেও অনুরোধ করেছেন বিচারপতিরা। রাতে বিক্ষোভকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, যান চলাচল সহজ করার জন্য পুলিশের সঙ্গে তাঁরা কথা বলবেন। তবে এনআরসি-সিএএ খারিজ না হওয়া পর্যন্ত সরবেন না।
জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ১৫ ডিসেম্বর রাতে এনআরসি ও সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের উপর পুলিশ ও গৈরিক বাহিনী হামলা চালায়। সেই দিন থেকে পাশে রাস্তার এই এলাকায় অবস্থান করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। আজ সেই আন্দোলন এক মাস পূর্ণ করল। অনেক প্রলোভন ও হুমকিতেও আন্দোলন ভাঙতে পারেনি প্রশাসন।
বিক্ষোভকারীদের উচ্ছেদ করে রাস্তা ফাঁকা করার নির্দেশ চেয়ে হাইকোর্টে মামলাটি করেছিলেন অমিত সাহনি নামে এক আইনজীবী। পুলিশ জানিয়েছে, হাইকোর্টের রায়ের পরে অবরোধকারীদের সঙ্গে তারা কথা বলেছে। বলপ্রয়োগের কথা এখনই ভাবা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: বিনয়-মুকেশের আর্জি বাতিল সুপ্রিম কোর্টে