বিহারের কোনও দফতরে না ডেকে কেন দিল্লির সিবিআই দফতরে তলব? প্রশ্ন তেজস্বীর। — ফাইল ছবি।
জমির বদলে চাকরি মামলায় সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিতেই হবে। জানিয়ে দিল দিল্লি হাই কোর্ট। আগামী ২৫ মার্চ তাঁকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দিল্লির অফিসে হাজির হতে হবে।
জমির বদলে চাকরি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই সমন পাঠিয়েছিল বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বীকে। সেই সমন খারিজ করার আবেদন নিয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন লালু-তনয়। তাঁর আবেদন ছিল, যে সময় এই দুর্নীতি সংগঠিত হয়েছে বলে তদন্তকারী সংস্থা দাবি করছে, সেই সময় তিনি নাবালক ছিলেন। এই মামলায় প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ রয়েছে তাঁর বাবা লালুপ্রসাদ যাদবের নামে। এর পাশাপাশি, বিহারে না ডেকে কেন তাঁকে দিল্লির সিবিআই দফতরে তলব করা হয়েছে, তা নিয়েও আপত্তি জানিয়েছিলেন তেজস্বী।
শুনানিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী ডিপি সিংহ জানান, তেজস্বী সশরীরে সিবিআইয়ের কাছে হাজির হতেই পারেন। তাঁকে গ্রেফতার করার কথা ভাবছে না সিবিআই। তার পরেই তেজস্বীর আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল আগামী ২৫ মার্চ সিবিআই অফিসে হাজির থাকবেন। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী যে দিন দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন, ঘটনাচক্রে, সেই দিনই এই মামলায় দিল্লির একটি আদালতে তাঁর মা রাবড়ী দেবী, বাবা লালুপ্রসাদ এবং বোন মিসা ভারতী জামিন পেয়েছেন।
জমির বদলে চাকরি মামলায় আদালতে জমা পড়া চার্জশিটে সিবিআইয়ের অভিযোগ, লালু রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৪ থেকে ২০০৯-এর মধ্যে সস্তায় জমি কেনার বদলে রেলে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল। যে সমস্ত মানুষ সেই সময় রেলে এ ভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা নিজেরা বা নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে জলের দরে যাদব পরিবারের কাছে জমি বিক্রি করেছিলেন। প্রসঙ্গত, গত বছর ১০ অক্টোবর এই মামলায় চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। সেখানে ষড়যন্ত্র এবং দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হিসাবে মোট ১৬ জনের নাম রয়েছে।