কেজরীর সাজে খুদে। ছবি: আম আদমি পার্টির টুইট থেকে
বেলা যত বাড়ছে ততই মিলে যাচ্ছে বুথফেরত সমীক্ষার ফল। হাসি চওড়া হতে শুরু করেছে আম আদমি পার্টির সমর্থকদের। স্বস্তির ছাপ কেজরীর চোখেমুখেও। গণনার শুরুতেই অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে তাঁর দল। মানুষ আস্থা রেখেছে তাদের উপরে তা বুঝতে পেরেই সপরিবারে হেডকোয়ার্টারে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার কেজরী যখন ঢুকছেন, পার্টি অফিসের বাইরে জনজোয়ার। এসব দেখেই তাঁর সহযোগীরা বলছেন, কথা রাখার ফল ফলছে।
বাড়ি থেকেই ভোট গণনা দেখছেন কেজরীর প্রধান ভরসা মণীশ সিসৌদিয়া। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত।কারণ আমরা মানুষের জন্যে টানা পাঁচ বছর কাজ করে গিয়েছি। কোনও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিইনি।’’
বড়সড় জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন আপ নেতা সঞ্জয় সিংহও। বাড়ির সামনে জড়ো হওয়া সাংবাদিকদের বললেন, ‘‘আর একটু অপেক্ষা করে যান। আমরা বড় জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে।’’
কোন অস্ত্রে ঘায়েল হল বিজেপি? উত্তরে বিজেপির ভুলের দিকেই আঙুল তুলছেন সৌরভ ভরদ্বাজ। গ্রেটার কৈলাসের প্রার্থী সৌরভের কথায়, ‘‘বিজেপি এবার প্রচারে এসে প্রথম থেকেই বিষ ছড়াচ্ছিল। টেলিভিশনে হেভিওয়েট নেতারা বিভেদমূলক কথাবার্তা বলছিলেন একটানা। পাড়ায় পাড়ায় একই কাজ করছিলেন ছোট ছোট নেতারা। হিন্দুত্বের তাস খেলা চলছিল সর্বত্র। বলা হচ্ছিল,বিজেপিকে ভোট না দিলে হিন্দুদের অস্তিত্ব সঙ্কট। মানুষ এসব ভাল ভাবে নেয়নি।’’
আরও পড়ুন:লাইভ : গণনা শেষ হওয়ার আগেই উচ্ছ্বাসে ভেসে গেলেন আপ-কর্মী ও সমর্থকরা
আরও পড়ুন:গেরুয়া ফাঁদে পা দিতে গিয়েও সামলে নিলেন কেজরী, টেনে কি ধরলেন পিকে?
এদিন ভোটগণনা শুরুর আগেও যথেষ্ট প্রত্যয়ী ছিল বিজেপি শিবির। বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারি এ দিন বলেন, ‘‘আমরা ৪৮-এর বেশি আসন পাব। আশ্চর্য হব না যদি ৫৫টা আসনও পাই।’’
তবে বেলা বাড়তেই ছবিটা বদলাতে শুরু করে। ক্ষমতায় আসছি, এই আস্ফালন যে করা যাবে না বুঝেই মুথে কুলুপ নেতাদের। শুনশান পার্টি অফিসও।